ঈশপের নীতি-গল্পে ছেলেবেলায়
পড়েছিলাম কাক একটি বুদ্ধিমান
পাখি প্রজাতি প্রাণী...
বড় হয়ে আবিষ্কার করলাম
কাক ঘোর নির্বোধ এক প্রাণী!


কাক ও কোকিল দেখতে
এক রকম হলেও দু'টোর
মধ্যে আছে পার্থক্য...
এক, কন্ঠ সুরেলা ও কর্কশ
দুই, বাসা বানানো...
কোকিল সুন্দর বাসা বানাতে
পারে, কাক তা পারেনা!


কাক বুদ্ধিমান হলে কোকিলের
ডিমকে নিজের মনে করে
তা দিয়ে বাচ্চা কিভাবে ফুটায়?
আর কোকিল কাকের বাসায়
কি ডিম পাড়তে পারে?


কোকিলের চেয়ে কাক অনেক ভালো!
কাক পরিশ্রমী পাখি, নোংরা খেয়ে
পরিবেশ সুন্দর রাখে...
কোকিলের মত সারাদিন
গান গেয়ে বেড়ায় না!
সে মাতৃ-স্বত্বের জন্য
দায়িত্ব পালন করে...
কোকিল সে কাজ না করে পালিয়ে যায়!


দুই বাংলার বাংলাভাষী
জনগণ যে কাকের মতো...
চতুর ইংরেজরা ছিল
কোকিল, তাও বসন্তের!


ইংরেজদের ডিমে তা দিয়ে নির্বোধ এসব
প্রাণীরা এখনো বাচ্চা ফুটিয়ে মাতৃ-অধিকারের
শপথপূর্বক শিরোধার্য কর্তব্য পালন করে যাচ্ছে...


এপার-ওপার বাংলার গো-ভক্ত আর শূকর-বিদ্বেষীরা
ভাবল, এই যাত্রায় তাদের ধর্ম রক্ষা হয়েছে।
গূঢ় সুতার ফাটল দেখেনি তারা!
তাই, কর্কশ স্বরে কা…কা… ই করে যাচ্ছে!


সেয়ানা ইংরেজরা পশ্চিমবঙ্গের শহরের
বাবুদের শিখিয়েছিল তাঁবেদারি...
তারা তো দালাল ধনিক বাবু-শ্রেণী
তৈরি করে দিয়ে গ্যাছে!
এর নমুনা এখনো অব্যাহত
কথা ও আচরণে...
তারা বাংলা লিখতে গেলেও
ইংরেজি-রোমান হরফে লিখে থাকে,
আর জীবনধারণ কথা বলার ঢঙ্
আর চেষ্টা একেবারে ইংরেজদের মতো ...
পূর্ব বঙ্গের অবস্থা প্রায় একই রকম!


==============o


উত্তর আমেরিকা,
২২ শে বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ