ধর্ম ছাড়া পঙ্গু বিজ্ঞান
বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ
প্রত্যেক মানুষের জীবন
একটি স্রোত-প্রবাহের মত!
এ প্রবাহ কি তাকে তাহলে
ঈশ্বরের দিকে যায় নিয়ে?
মজার ব্যাপার হল, সব ধর্মের মত
কিন্তু এক নয় বরং পরস্পরবিরোধী,
কিন্তু জীব ও জগৎ সৃষ্টি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকদের
মতবাদে কোন পরস্পর বিরোধিতা নেই তেমন।
আবার ডারঊইনের বিবর্তনবাদ
মেনে নেওয়া মানে হচ্ছে
ধর্মের বিশ্বাস কে ত্যাগ করা!
ক্রিশ্চিয়ান ও মুসলমান উভয়ে বিশ্বাস
করেন যে মানব জাতির সৃষ্টি
হযরত আদম ও বিবি হাওয়া থেকে...
বিজ্ঞান এবং ধর্ম নিয়ে ইতিপূর্বে
করেছেন আলোচনা অনেকেই,
আবার হয়েছেন অনেকে
নির্মম পরিণতির স্বীকার!
গ্যালিলিওকে কারাগারে
যেমন জীবন হয়েছে দিতে,
তেমনি করেছে অত্যাচার পুণ্যাত্মার!
ধর্মকে অবিশ্বাস কিংবা বিজ্ঞানকে
বিশ্বাস করতে বলা হচ্ছে!
এটা মেনে নিলে ধর্ম এবং
বিজ্ঞানের মধ্যে খুব একটা
বেশি বিরোধ হয়না,
বিজ্ঞানীরা খোদার অস্তিত্বকে
করে বিশ্বাস যা ধর্মও বলে!
কিন্তু ধর্ম বলছে, মানুষের
আদিম জাত মানুষই ছিল এবং স্রষ্টা
সরাসরি বানিয়েছেন মানুষকে!
ডাঃ জাকির নায়েক তার অনেক
লেকচারে বলেন, এখন পর্যন্ত বিজ্ঞান
যা কিছু আবিষ্কার করেছে বা
প্রমাণ করেছে তার ৮০%
ইসলাম ধর্মের আল কুর’আনের
সাথে যায় মিলে ,
তিনি বিশ্বাস করেন বাকী ২০%
কোন একদিন মিলে যাবে ...
সব ধর্মের মত কিন্তু এক নয়,
বরং পরস্পরবিরোধী...
কিন্তু জীব ও জগৎ সৃষ্টি সম্পর্কে
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক মতবাদে কোন পরস্পর
নেই বিরোধিতা বা স্ববিরোধিতা!
তবে সেসব মতবাদের আছে
বিবর্তন ও বিকাশ...
যুক্তি ও প্রমাণ চায় বিজ্ঞান আবার
দর্শন ছাড়া সে এগুতে পারেনা!
বিভিন্ন রোগের ও ভূমিকম্পের কথা
কুর’আনে অনেক বার এসেছে,
বিগ ব্যাং নিয়ে সমস্যা নেই !
বিজ্ঞান বিগ ব্যাং আবিষ্কারের
হাজার বছর আগেই কুর’আনে
দেয়া হয়েছিল তার ইঙ্গিত!
মুসলমানেরা শুকরের মাংস খায় না!
উত্তরে বলা হয়, শুকরের মাংস কোনমতেই
স্বাস্থ্যসম্মত কোন খাবার নয়,
এই আধুনিক সময়েও এ থেকে
অনেক ধরণের রোগ জীবাণু ছড়ায়,
অন্য মাংস খেলে ছড়াবে না
বিজ্ঞানের গবেষণা থেকে তো স্বীকার করা হয়েছে ...
ধর্মীয় রীতিনীতি সব পালন না করলেও
প্রচন্ডভাবে অনেক মানুষ আল্লাহে বিশ্বাসী,
ধর্মের অনেক বিধি নিষেধ
কিন্তু খারাপ নয়, নৈতিক প্রগতি !
আবার এমন অনেক কিছুই
পরিত্যাজ্য ও বর্জনীয় যা
সমাজের জন্যই ভাল,
সুদ দেয়া ও নেয়া ইসলাম
ধর্মে হারাম বা নিষেধ!
ধর্মীয় অনেক গল্প কাহিনী যা
অনেকে বলেন এগুলো মিথ্যা,
তাও তো ধর্ম মানুষকে দোজখে শাস্তির
ভয় দেখিয়ে পাপ থেকে বিরত রাখছে!
কিন্তু বিজ্ঞান যে এ ভূবনকে ধ্বংস ও
মানুষ কে চুরি করা ও অসৎ হতে শেখাচ্ছে!
আবার পাপের দিকেই যাচ্ছে নিয়ে ...
--------------------------------------------------------------------------
(এ কবিতাটি কবি গোপাল চন্দ্র সরকারের 'বিজ্ঞান সত্য' কাব্য পাঠের পর লিখিত ...)
=====================o
উত্তর আমেরিকা
১৪ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ