সৃষ্টির শুরু থেকেই চাঁদ
বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর
কাছে ধর্মীয় উপাসনার বস্তু!


জার্মান সাহিত্যিক ই.ফন গ্যোটে
শশীকে সান্ত্বনার উপমা হিসেবে...
আর আমাদের সুকান্ত ভট্টাচার্য
উর্বীর এ পূর্ণিমা-উপগ্রহকে
‘ঝলসানো রুটি’-র
সাথে করেছেন তুলনা!


আদিমকালে অনেক জাতিগোষ্ঠীই
এটাকে করত বিবেচনা ধর্মীয় শক্তির মত,
তারা করত নিয়মিত পূজা এ চাঁদার!
আবার অমাবস্যা-পূর্ণিমা দিয়েই
দিন ও মাস করে গণনা কোন ধর্মে?


সেদিন চন্দ মামা, মঙ্গলগ্রহের খুব
কাছে এসে তার স্বর্গীয় সৌন্দর্য নিয়ে  
‘ব্লাড মুন’ হিসেবে দিয়েছিল ধরা,
এ বিরল আভার রক্তিম সৌন্দর্যের
উপভোগ করে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ!
ওধিনাথের অনন্য এ সৌন্দর্যের
দেখা কিন্তু মেলে খুব কম সময়ই৷


চন্দ্রমাকে উপস্থাপন করা হয়
নিষ্পাপ বা ভার্জিন মেরির প্রতীকায়নে,
রোম্যান্টিকতাতেও  সে কম যায়না!
উড়ুপের জাদুকরী সৌন্দর্য আছে
তাই বার বারই হয়ে উঠেছে
শিল্পের অনুপ্রেরণা!


শীতাংশু ও নিশাচর প্রাণীর মাঝে
রয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক,
তাই পেঁচা শশাঙ্কের আলোয়
তার ডানা মেলাকে করে উপভাগ,
নেশা জাগানিয়া সোমের এ প্রভাব
বোধ হয় পড়েছে মানুষের মাঝেও!
পক্ষধরের সাথে প্রেমের এক সম্পর্ক,
আসলে প্রতিটি মানুষই একটি চন্দ্র
ছেলে বা মেয়েই হোক...
তার একটি অন্ধকার দিকও আছে!
কিন্তু এ অন্ধকার দিকটাকে
কাউকে দেখাতে চায় না সে!


মানব ইতিহাসে ১৯৬৯ সালের
চন্দ্রজয় একটি মাইলফলক,
শুধু জয়-ই নয় এটি,
এ জয়ের মধ্য দিয়েই
কলাধরের সব গোপন রহস্য
বের করে মানুষ!


================o
----------------------------------------------------------------------------------------------------
চাঁদ > শশী, চাঁদা, চন্দ, ওধিনাথ, চন্দ্রমা, উড়ুপ, শীতাংশু, চন্দ্র, চন্দ, শশাঙ্ক, সোম, পক্ষধর < কলাধর
---------------------------- -----------------------------------------------------------------------


উত্তর আমেরিকা
১২ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ