মানুষের জন্মের লক্ষ্য একটাই তা হচ্ছে মৃত্যু।
আমরা সফলতা, সুখ, টাকার পিছে দৌড়চ্ছি না বরং আমরা দৌড়চ্ছি মৃত্যুর খুব কাছাকাছি যাওয়ার জন্য কারণ আমরা জন্মেছি মৃত্যুক্ষুধায়।
পৃথিবীতে আজও বন্দুক কিংবা গ্রেনেড সৃষ্টি হয়,
কারণ আমরা জন্মেছি মৃত্যুক্ষুধায়।
কাবা শরিফ নয় বরং সবচেয়ে বেশি চুমু পড়ে সিগারেটের পাছায়,
কারণ আমরা জন্মেছি মৃত্যুক্ষুধায়।
পুতিন পাদ দিলেও বাইডেন চেতে যায়,
কারণ আমরা জন্মেছি মৃত্যুক্ষুধায়।
কিছু মানুষ খুব বাঁচতে চায়,
তারাও আছে মৃত্যুক্ষুধায়।
মানুষ তারই সৃষ্ট রোবটের কাছে জীবনের সমাধান চায়,
কারণ তারা জন্মেছে অসম্ভব মৃত্যু ক্ষুধায়।
বিপ্লব ঘটাইয়া ফেললেও তোমায় পাব না বিধায়,
আমি জন্মেছি মৃত্যুক্ষুধায়।
তুমি প্রকৃতি হয়েও আমার চারপাশে নাই,
তুমি জন্মেছ মৃত্যু ক্ষুধায় তাই।
মানুষ মঙ্গলে যেতে চায়, মানুষ এলিয়েন দেখতে চায়,
কারণ তারা আছে মৃত্যুক্ষুধায়।
কিছু ফেরেশতার জন্ম নরকে হয়েছে তাই,
তারা আছে মৃত্যুক্ষুধায়।
এত বিদ্রোহী হয়ে লাভ নাই,
তুমি রয়েছ মৃত্যুক্ষুধায়।
আমার জন্মের পর আমার গালে মধু দেওয়া হয় নাই,
আমার পেট ভর্তি মৃত্যুর ক্ষুধা ছিল তাই।
আমার এই লেখা গুলো মাঝরাতে সমুদ্রকে শোনাতে চাই,
কারণ আমি জন্মেছি প্রচণ্ড মৃত্যুক্ষুধায়।

আমি স্রষ্টার মৃত্যুর অপেক্ষায়,
স্রষ্টা, তুমিও কি মৃত্যুক্ষুধায়?

মানুষ আগুন আবিষ্কার করেছে বিধায়,
সেই আগুনেই পুড়ে তারা ছাই,
তা দেখে আমার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণের ইচ্ছা জাগে তাই,
আমি রয়েছি পরম মৃত্যুক্ষুধায়।

নিজের সুখ দেখে নিজেই ঈর্ষায়,
ঈর্ষান্বিত হয়ে জ্বলে পুড়ে ছাই,
আমি তো পরম মৃত্যুক্ষুধায়।

শখের স্বাদ মিটতে চায়
তোমায় পেয়ে যাব যাব মনে হয়
কিন্তু মৃত্যুর ক্ষুধা তো মিটে নাই।

আমি অতি সুখী একজন মানুষ।
জীবন নিয়ে কোনো আক্ষেপ নাই,
নিজ অস্তিত্ব নিয়ে কোনো আফসোস নাই।
তাই তো আরো হাজার বছর বাঁচতে চাই,
আরো হাজার বছর থাকতে চাই,
মৃত্যুক্ষুধায়।

আমি যখন নিঃস্ব হলাম,
আমি যখন ধ্বংস হলাম,
আমি যখন সব হারালাম,
তখন একটুও আমি কাঁদি নাই।
লোকমুখে শুনেছি "ঈশ্বর যা করে ভালোর জন্যেই করে" তাই।
আমি হয়ে গেলাম আমার পিতা মাতার একমাত্র এতিম সন্তান।
আমি হয়ে গেলাম আমার ভাই-বোনের একমাত্র নিঃস্ব ভাই।
ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখলাম হঠাৎ,
তখন ছিলাম এতিম আজকে আমি অনাথ।
অন্ধ হয়ে এভাবেই হাজার বছর বাঁচতে চাই।
তাই তো বোধহয় জন্মেছি মৃত্যক্ষুধায়।

হয়তো মৃত্যুর স্বাদ মিটে যাবে।
জীবন হয়তো ফুরিয়ে যাবে অফুরন্ত নিদ্রায়।
তবে আমি আবার জন্ম নেব।
৭ বার না হোক, অন্তত একবার।
আমি জন্ম নেব তোমার লেখা কোনো ১২ লাইনের কবিতায়,
তুমি জানলে অবাক হবে আমি সেবারও জন্ম নেব মৃত্যুক্ষুধায়।

নয়তো মৃত্যুর ক্ষুধা মিটে যাবে।
সেদিন হয়তো রাশিয়া ন্যাটো তে অংশগ্রহণ করবে,
সেদিন হয়তো রোবট করবে শুধুমাত্র মানুষের দাসত্ব,
সেদিন হয়তো শেষ হয়ে যাবে সমস্ত দৌড় প্রতিযোগিতা,
সেদিন হয়তো বুঝবে মানুষ মজুদ নয়, বিলিনেই সুখ হয়,
সেদিন যেন আমি তোমায় পেয়ে যাই,
কিন্তু সেদিনের তো আসার সুযোগ নাই।
কারণ আমরা জন্মেছি অসম্ভব মৃত্যুক্ষুধায়।

স্রষ্টা মাঝে আজ সৃষ্টিদরদ নাই দেখে তাই,
সৃষ্টির সেরা জীব আজ মৃত্যুক্ষুধায়।

আমরা এখনও মাজারে যাই।
কারণ আমরা জন্মেছি মৃত্যুক্ষুধায়।
ও অন্ধ মুরিদ, খুলিয়া দ্যাখো চক্ষুদ্বয়,
পীর বাবা যে সেজদাহ দিতে কয়,
পীর বাবাও জন্মেছে মৃত্যুক্ষুধায়।

মৃত্যুক্ষুধায় জন্মাতে স্বার্থপর হতে হয়।
যতটা স্বার্থপর হলে মানুষ সিগারেট খায়,
আবার যতটা স্বার্থপর হলে মানুষ ঠোঁটের সিগারেট পায়ে নামায়,
যতটা স্বার্থপর হলে সৃষ্টি স্রষ্টা ভুলে যায়,
ঠিক ততটা স্বার্থপর হলেই মানুষের পেটে মৃত্যুক্ষুধা জন্মায়।

আমরা হয়তো খুনী নয়তো আত্মহত্যাকারী,
কারণ মৃত্যুই একমাত্র অস্তিত্ব আমাদের কামনায়,
কারণ আমরা জন্মেছি মৃত্যুক্ষুধায়।

পৃথিবীর যত সিগারেটের ধোঁয়া,
তারই মাঝে তোমারই হারিয়ে যাওয়া।
পৃথিবীতে যত সিগারেটের ছাই,
তোমায় ফেলছে মৃত্যুক্ষুধায়।
একটা কথা বলি তোমায়?
আমারও তো সময় ঘনায়।
ক্ষুধা মেটার সময় এলো চলে প্রায়,
কিভাবে দেবে আমায় বিদায়?