নীহারিকা , অভিমানের সীমানায় দাড়িয়ে
যে অভিযোগ দিয়েছো তুমি
আমি তার কথা বলতে এসেছি ।
বলতে এসেছি
তোমার নিরব নিষ্ঠুর আঘাতে
ক্ষত-বিক্ষত হওয়া
এক নষ্ট কবির ইতিহাস।


নীহারিকা ,আমি ভাল নেই
ভালবাসার তিক্ততায় রিক্ত করে
যে শূন্যতায় করেছো আমার বসবাস
যে নগ্নতার হাহাকারে  কাটছে আমার দীর্ঘশ্বাস
তুমি তো তারই অভিনেত্রী ।


  
নীহারিকা ,তুমি নেই বলে
তোমার অবলীলায় অভিমানে কাঁদে
রাতের হাসনাহেনা ।
নি:সঙ্গ রজনীগন্ধ্যাও এখন আর ফুটেনা
বিরহী রাত্রির বুকে ।
নিরবতার নৃসংশ আচঁড় দাগ কেটেঁ যায়
আমার বুকের বা পাশে ।



নীহারিকা , আমি তো তেমনি একজন
যে ভালবাসার নীল সমুদ্রে স্নান করে
জোসনা  পোহাতো ভেজা গায়ে ।
নিশ্চুপ আকাশপানে সহস্র তারার দিকে চেয়ে
যে গুনত জীবনের শেষ প্রহর ।



নীহারিকা ,জীবন হয়ত এমনি
ভালবাসাই জীবনের সব নগ্নতার কারণ
যার ভূল শোধরাতে হয়
পৃথিবীটাকে বিদায় দিয়ে ।
তার সময় হয়ত আমার হয়েছে
  তোমার নিষ্ঠুরতার চাপা কষ্টে ভর করে
হয়ত আমি একদিন চলে যাবো
চলে যাবো অভিমানে অবসরে ।


নীহারিকা , এতটুকু  অশ্রু কি ঝরবেনা তোমার
অথবা এতটুকু অনুশোচনায় কি পুড়বেনা তুমি
যে জীবনের সবকিছু শূন্য করে
পূর্ন্যতা দিয়েছে তোমার জীবনটাকে ।
যে জীবন ও জীবিকাকে তুচ্ছ করে
কাঁটিয়ে দিয়েছে জীবনের সবকটা বছর
তোমারি শুভকামনায় তোমারি আরাধনায় ।


উৎসর্গ:- (চাঁদনী)