মৌলিক খুঁটি হাতে যখন কবি উঠে দাঁড়ালেন মৃত মঞ্চে-
অর্থাৎ মঞ্চহীন সমতলে কবি যখন দাঁড়ালেন,
তখন তুমুল উল্লাসে তাঁকে স্বাগত জানালো মৃত মানুষেরা-
অর্থাৎ যাদের স্বার্থ মৃত- যারা প্রথাগত জীবিতের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা;
আজ কবি খুঁটির সাহায্যে অলৌকিক ক্ষমতা প্রকাশ করবেন -
অর্থাৎ গভীর যৌক্তিক কথাই আজ সকলকে শুনাবেন কবি;
প্রাচীন মানুষ তার থেকেও শক্তিশালী প্রাণীকে-
লাঠির বাড়তি দক্ষতায় একে একে সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে,
সভ্যতার সেই লাঠি আধুনিকতম খুঁটি হয়ে-
                          কবির হাতেই এসে উঠেছে আজ;
যারা রুটির পিছনে যৌবনে ঘুরতে ঘুরতে-
অবশেষে বার্ধক্যে ভুল লাঠি ধরে  বাঁচার চেষ্টা করে,
কিংবা উপযুক্ত লাঠির অভাবে যারা মরার মত বাঁচে-
কবি আজ খুঁটি হাতে সেসব লোকগুলোকে সঠিক পথ দেখাবেন ।
সহসা কবির কণ্ঠস্বরে ইতি ঘটলো সকলের প্রতীক্ষার-
মৃত্যুর শুভসম্ভাবনার কথা জানিয়ে কবি বক্তব্য শুরু করলেন-  
অর্থাৎ অনন্ত জীবনের জয়গান তার স্বাগত ভাষণে;
সময়ের বার্তাই প্রতিধ্বনিত হল তার আত্মসম্বোধনে-
‘হাজারো লোকের ভিড়ে মানুষ দেখি নি কতদিন ধরে
আজ যেন আমি নিজের ঘরেই ফিরেছি আবার-
তোমার-আমার-সবার সত্যিকার ঘর-
         সেতো সর্বদা নিজের ভিতরে জন্মাবার মাঝেই......'
তখন হটাত এক মৃতপ্রায় মানুষের প্রশ্নের বাধায়-
সচেতনে- কবি  তার উত্তর জনতার কাছেই জানতে চাইলেন,
এক নিমিষে অজস্র অর্ধমৃতের মৃত্যু হল- সহস্র ভাবে
অর্থাৎ ক্রমে হাজারটা এক মিলে হাজারে হাজারে-
ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে একই সত্যে এসে মতভেদের অবসান হল,
তখন একলোক সব দ্বিধা কেটে যাবে বলে আপ্লুত হতেই-
কবি হুশিয়ার করে দিলেন তাকে এবং উপস্থিত সমস্ত জনতাকে-
‘দ্বিধা হল ইচ্ছের ক্ষুধা,
যেসব বিশ্বাস-অবিশ্বাস পথ রুদ্ধ করে-
তাকে তোমরা দ্বিধায় ভেঙ্গে অতঃপর গড়ো-
                     এবং আবারো পরোখ করো সূক্ষ্মতায়
অনন্তের মতই আমাদের পথে শাশ্বত হোক দ্বিধা’
কবির কথায় তখন নির্দ্বিধায় বিশ্বাস-অবিশ্বাসের নিদারুণ মৃত্যু হল,
অর্থাৎ প্রশ্নের ভিতর উত্তরের জন্মে-
                        যেন প্রশ্নোত্তরের জন্ম হল আরও ।