ঘরের ভিতরে ঢোকে উত্তরের হাওয়া, নিভৃতে শুধায়-
‘কিছু শব্দ তোমার নয়, যেমন দুঃসময় বা সুসময়’
তাই দুঃখ আর সুখ নামের শব্দদ্বয়কে পিছনে রেখে -
আমি নৈশব্দে হেঁটে যাই কালের যাত্রাপথে- একা,
হাঁটার ছলে ধুলোর অতলে ডুবে সাফল্য-ব্যর্থতা,
তাই পথে অজানা মৃতের সাথে-
জীবিতের মিথ্যে তুলনা- কোথাও দেখি না,
শুধু আনমনা হই জানলার ঘোলা কাঁচে; বাইরে তাকালে-
নীলাকাশ যেন ধূসর আলোয় স্মৃতি-স্বপ্নের মত নাচে,
তবু সহসা উত্তরের হাওয়ায় ঘরের ভিতরে ঢোকে যৌক্তিক অমরতা
আধারি রাতের গানের পাখির মত-
কোলাহল পেলে একা হতে থাকি-
তখন ভীত মানুষের স্রোতে কোথাও খুঁজি না প্রান্তের নিশ্চয়তা;
জীবন- সেতো দীর্ঘ ঘুমের পর মধ্যরাতের দুঃস্বপ্নের মত নয়-
সেতো যাপনের নামে যাতনা নয়- নয় উদযাপনের নিরন্ত বাসনা;
উত্তরের হাওয়ায় বুকের ক্ষত শুকালে বুঝি-
আমি নৈশব্দে হেঁটে চলি কালের যাত্রা পথে- একা,
চোখের উল্লাসে জাগা বিস্মিত নিথর প্রাণ-
যখন হয়ে উঠে এক আলোর মহাবিশ্ব-
বুকের ছন্দ-সুরে সবকিছুকে তখন শৈল্পিক বলে মনে হয়,
যেথায় কিছু শব্দ স্বপ্নময় হয়ে উঠে; আবার কিছু শব্দ-
যা কোনদিনই আর- আমার হওয়ার নয় ।