সময়ের পাহাড় বেয়ে চুড়োয় উঠে দাঁড়ালেন তিনজন কবি
প্রত্যেকের প্রেমিকার ছবি তাদের  মবুক পকেটে রাখা
তাছাড়া একটি করে কলম আর লিখার সাদা পাতা রয়েছে হাতে;
সন্ধ্যার আলোআঁধারিতে কবিদের গল্পে প্রেমের জোছনা নামে
দূর সমতলে তখন মানুষের ঘোর অন্ধকার
আচমকা কবিদের প্রেমিকার ছবি একে একে জেগে উঠে;
এক কবিকে দেখি তার প্রিয়াকে ফেরাবার ব্যর্থ চেষ্টা করে-
অতঃপর ক্ষোভে হাতের কাগজটাকে ছুড়ে ফেলেন দূরে,
তখন আরেকজনও আপন ব্যর্থতার রঙে আঁকেন স্মৃতির প্রেমিকাকে;
তৃতীয় কবিকে দেখি ভালোবাসে- জীবনের সর্বস্ব বাজি রেখে-
কী অনায়েসে তার প্রিয়াকেই ঠেলে দেন দূরে
তারপর পরিচত সহজ শব্দে লিখেন অনর্থক কিছু প্রেমের কবিতা ।
রাতের সাথে গল্পের গভীরতা বাড়ে
হটাত প্রশ্ন উঠে- 'কবি আসলে কে' ?
প্রথমজনাকে দেখি- ফেলা দেয়া কাগজ কুড়িয়ে-
স্মৃতির কলমে লিখতে বসেন প্রেমের আদ্যোপান্ত যত কথা;
দ্বিতীয়জন তখন ছবি আঁকা রেখে অন্য পাতায়-
ছন্দ-উপমায় লিখেই চলেন জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা;
ঠিক তখনই তৃতীয়জনকে উঠে যেতে দেখি
তিনি নিঃস্পৃহ ভঙ্গিতে অন্য দু'জনকে উদ্দেশ্যে করে বলেন-
‘আমি কবি নই; আমি অলস এবং অহংকারী’
অতঃপর কবি পাহাড়ি ঝরনার মত পুবদিকের নদীতীর ধরে -হাঁটতে থাকেন  দ্রুতলয়ে
যেন দূরের কোন মহাসাগরেই- একজন কবি- বড়ই একাকী ।