(কবিতাটি মামুন সরকার আদর্শ বিদ্যালয়ের ২০২১ সালের সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতি উৎসর্গীত)  


এ ঋণ তো শোধ হবার নয়!
আকাশে জমে থাকা নির্বোধ মেঘ
সে কী করে বোঝে অবলা এ ভাষা!
হঠাৎ করে ছাড়ে ভারী বর্ষণ।


আমি চলে যাব বলে —
আদর্শ কি চলবে না নিজ গতি বেগে!
আমি কেহ নই এ ধরণীর
নইকো 'বিদ্রোহী,বল বীর' নজরুলের!


কী করে শোধ হবে এ ঋন!
এতো— টাকা কড়িতে কেনা যায় না!
যায় কেবল হৃদয়ের কড়া বন্ধনে।


কী করে ভুলি তোদের —
'ভালোবাসা' এ আমার বড্ড দুর্বলতা।


খালামণি তিন্নির হাসি মাখা মুখটিও সেদিন
বেশ বেমানান ছিল;
ওর চোখের প্রতিটি দুঃসাহসী বিন্দু কণা জল
আমায় ক্ষত করেছে;
দিয়েছে শক্তি, সাহস আর অলভ্য মান।


বেঞ্চিতে কোণঠাসা মাহি, জুথি ও লিজা
তারই সাথে হাল ছাড়া লিলি, জোনাকি!
ভালোবাসা চায় তারা — আর কিছু কি!!


লুবনার চোখে দেখি — নীলাচল মেঘ
নাবিলার দু'নয়নে বেদনার ছাপ—
হায়!  হায়!!  হায়!!!
দেখি এ কি? আর্দশের প্রাণ করে মেঘ লয়ে খেলা!


সাগর সেও অবুঝ পোষা পাখি—
মেঘের সাথে তার যে শুধু আড়ি!  


সৌদিয়া, আসফিকা করে হাহুতাস
'এমন স্যার কোথায় পাব!'  কী যে পরিহাস!
মৌনতাকে পুঁজি করে রূপালি ও রূপা—
এই বুঝি খুলে গেলো, বেঁধে রাখা খোপা।


সুমাইয়া, নিঝুম,
আলো মণি মুশফিকা সয়তে কি পারে —
'কেনো স্যার চলে যান' বলতে না পারে!


গোলাম রাব্বী ও মেহেদি মামুনসহ বালকের দল, মেঘের সাথে বড্ড অভিমান করে
মুখ করেছে চুন; চুন করা ঐ মুখটি দেখে;
বারে বারে হয়েছি খুন!


বাক্-হীন মৌলি রাণী, জীম ও বৃষ্টি
তাদের মলিন চোখের কোণে করুণ সৃষ্টি
এ যে ভালোবাসার অনন্য বহিঃপ্রকাশ!!


আম্মাজান তৃষা মণি পারলো না লোকাতে—
আঁখিদ্বয় টলটম— ফোয়ারাকে হারাতে!
মার মুখে সে বেলার, হাসি ছাঁয়া অবেলার
নিয়তির এ খেলার; ইতি হবে কবে আর!