এইতো সেদিন, পুরনো সিঁড়িটা পার হতে হতে থমকে দাঁড়ালাম,
তুমি দাঁড়িয়ে আছো সিঁড়ির অপর প্রান্তে
হাতছানি দিয়ে ইশারায় ডাকছো আমায়!
কিন্তু না, সেটি ছিল একটি মৃত ছায়া!!
করিডোর পেরিয়ে আরো এগিয়ে গেলাম…
একটি পুরনো ক্যালেন্ডার আর
পেন্ডুলামের ক্ষীণ শব্দ ব্যতীত কিছু পেলাম না
আচ্ছা, গোল দাগ দেয়া ১২ তারিখ কি কারো জন্মদিন??
না না… তবে কি কোনো শোক দিবস??


এতকিছু বুঝে উঠার আগেই
কিছু শূন্যতা গ্রাস করে ফেললো আমায়..
সুযোগ বুঝে তীব্র নীলহায়েনা গুলো
বুকের বাঁ পাশে কামড়াতে শুরু করে দিলো নির্দ্বিধায়!
পেন্ডুলামের প্রতিধ্বনিগগুলা কি আমাকেই তিরস্কার করছে??


কিন্তু…
কিন্তু এমনটাতো হওয়ার কথা ছিল না…
পূর্নিমার আলোগুলো শুধু আমরাই কুড়িয়ে নিতে চেয়েছিলাম…
সমুদ্রের বিশাল ঢেউগুলোর মালিকানাও আমরাই পেতে চেয়েছিলাম…
ক্লান্ত বিকেলগুলোও বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বাহুবন্ধনে নিজেদের আঁকড়ে ধরার স্বপ্ন ছিল…
কিন্তু…
কিন্তু এমনটাতো হওয়ার কথা ছিলনা…


তুমি চেয়েছিলে একটি হীরকখচিত মুক্তির “নিশান”
কিংবা সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র “লুব্ধক”
দিতে পেরেছিলাম কি???
হ্যাঁ, পেরেছিলাম একটি নিঃশব্দ বিসর্জন,
একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস আর কিছু কালো দুঃস্বপ্ন।।
করিডোর পেরিয়ে মিশে গেলাম সভ্য সমাজে..
মানুষের ভীড়ে কি আমাকেও মানুষ দেখাচ্ছেনা??!


কিন্তু, একটা কিন্তু থেকেই গেল…
পিছনে তাকিয়ে দেখি তুমি নেই…
নির্বিঘ্নে পা ফেলার জন্য সবুজ পথটাও আজ বিবর্ণ;
চারিদিকে হাহাকার, দুর্ভিক্ষ, মৃত স্বপ্নগুলো
হাজারো মানুষরূপী মৃতদের মধ্যে পথ খুঁজে বেড়ায়.
আর,
ভালোবাসা নামক স্বর্ণখনিটি ঝিমুতে থাকে শুধু অভিধানেই!