বসে আছি বৃক্ষমূলে বেদী শাখা উদার ধরণী
কার কথা মনে পড়ে আসে কি সে বহিয়া তরণী?
প্রহরের ঘরে প্রহর মিলায় কত আকূলতা
তার দেখা পাই না তো নিদারুণ ব্যাস্ততা।
রেখেছিল বিন্দু অশ্রু মুক্তো প্রবল আর্তিতে-
রেখে হাত শাষণের বলেছিলো,'আমি তো রয়েছি'
ঘুমঘোরে অকস্মাৎ মৃদু রেশ তখনও দেখেছি।
আকাশের তারা থেকে গুনে মৃদু উজ্জলতা
-আসে খোলা পথে পৃথিবীর যাওয়া-আসা কথা।
উঠে জমে প্রাণের মাধুরী হতাশার মুখ ফেরা
দূরে কোন্ মেঠো পথে কাজ শেষে বাড়ী ফেরা-
আদিবাসী বর-বৌ,একে অপরের কতনা আপন
আঁজনা নদী জলে মিটাতেছে উভয়ের তৃষ্ণা দারুন।
মুষ্টি অন্নে উদরযাপন নিমেষের কত আকূলতা
ব্যাকূলতা কত সুখী ওরা, এখানেই তীর্থের প্রসন্নতা।
খাদ্য আড়ম্বর,জীবন-যাপন ধিক্কার মেশে-অকারণ
ওদের এই সুখ বলে যায় অকিঞ্চণ ওহে পৃথিবীর-
নিঃস্ব,অকিঞ্চণ কি আকালের সন্ধাণ, খুঁজে ফেরো
ফেরারীর প্রেম, সে তো করে বাস নিত্য গৃহীর কুটিরে
প্রেমিক পরাণে,যেথা রেষারেশি,স্বার্থ-দ্বন্দ স্তিমিত,বিবাগ।
আসল নির্য্যাস হৃদ্যতা সে তো ওই ঘরে ওই মোহে।
প্রেমের প্রচ্ছায়া শুধু প্রতিদ্ধনী হয়ে আশেপাশে মোর,
বসে আছি দৈন্যতায়,উপেক্ষা কি হতাশায়-
সে কি আসে যার আশ্বাস বলে,'আমি তো রয়েছি"।?