আমি বড় হতভাগ্য, মা তোমার দুর্দশা লিখেছি বলে
ত্যাজ্য করেছে বাবা,ভাসিয়ে দিয়েছে জলে,বোনের-
কুরুচি প্রেম মানিনি তাই জেহাদের জেরে আমি উহ্য।
মুছে গেছি বিদ্রোহী নাম অজানার জনপথে
ওরা বন্য স্রোত নদীপথে সশস্ত্র থেকেছে-
গোলাগুলি ঘায়ে আমার কফিন গড়েছে।
আমার ভাষা নিয়ে নিষ্ঠুর বেয়নেট
বুলেট বাহী ক্ষিপ্রতা ধ্বংস হেনেছে-
শব্দরা যত ছিল প্রমাণিত,রাখেনি চিহ্ন কোন,
মা,আমিওতো ছুঁয়েছি এলো চুল, আলতা পা-
তোমার স্নেহ গন্ধ নিয়ে নদীতে প্রদীপ জ্বেলেছি।
তোমার কষ্ট বিছানায় প্রথম সূর্য আলো ছড়িয়েছি
কষ্টগুলো জড়িয়ে রেখেছি প্রাণপন,আমারও-
শৈশবগুলো সযত্নে রেখেছো তুমি,বলো,
তুমিও কি গর্ভজ্বালা নিয়ে আমায় গড়ো নি-
অতঃপর হারিয়ে দিয়েছো পরিচয়,সমাজের কদর্য্য ভীড়ে
একা পথ বে-আকূল,গহীন তুফান,বিপর্যয়
তীক্ষ্ন লোলুপ দৃষ্টি মাঝে সমাজের প্রতিঘাত চোখ
প্রতিক্ষন সংশয়,ভয় হিংস্র লোলুপ-
একাকী নিরুপায়,ইট-পাথরের ঘাঁয়ে,অনাথ,,
আজ আমি রক্তে অমিল শুধু,
অপরাধ লিখেছি তোমার পাংশুমুখ,তাই ধেয়ে এলো
ওপার বাংলা প্রহরা এড়িয়ে সন্ত্রাসী আখ্যা
কাঠগড়া বিচার হেনেছে তেজ্য,
কিতাব ছিড়েছে, সৃষ্টিছাড়া আখ্যা জুড়েছে।
আমি বড় হতভাগ্য মা,বই লিখে কবিনাম-
সমাজের প্রতিপত্তি হল, আমি ব্যাতিক্রম শুধু
তোমার সংসার লেখালেখি বদনাম নির্বাসন দিলো।