জোয়ান,মরদ সব গেছে হরতালে,কাপড়ের মিল্
মাসখান হলো গেটে তালা শ্রমিকের অনন্ত ফসিল
ছেলে,বৌ শিশুগুলা বাড়ী বাড়ী ভিখ্ মাগে হাড় কঙ্কাল
কেহ বা জুড়ায় জ্বালা পাঁচ-ছয় ঠিকার অন্ন জল।


সময় শুনেছো কি,গুনেছো কি শ্রমের ফসল?


ওরা আমাদের পথে যায়,সমাজের মিশিয়ে সভ্যতা
সেজে উঠি দুস্তর,প্রাসাদ,বিলাস যত নির্নিত প্রথা।
ওদের চূলার দরে মিশে থাকে সততার রক্ত ঘাম
বিন্দু হয়ে ঝড়ে পরে ভাতের আসরে অন্ন প্রমাণ।
বাবুদের ঘর আর মেশিনের কল্ বোঝাপড়া দুয়ে সংস্থাণ
হেসে খেলে গুজরান কোলে,কাঁখে শিশুদের প্রাণ।


সময় শুনেছো কি গুনেছো নিদারুণ দুরাশা প্রমাণ?


হাপরের কব্জায় আগুণ জ্বলে না,হাড়ে জ্বলে যে পরিমাণ।
হতাশার মুষ্টিতে ভীত নয় জোতদার  মালিক,শোষক
জিরজির শরীরের দায় নিয়ে বাবুরা হাসেন রক্ত জোঁক।
গেল বারও মিছিলে হেঁটেছে----আওয়াজ তুলেছে বেবাক
                       "শ্রমিক,মালিক
                          ভাই ভাই
                   দুয়ে মিলে বাঁচতে চাই।"
প্রতিদ্ধনী বাধ ভাঙে বুকের ভিতর জ্বলা চোখ,হিংস্র দারুণ    
আগন্তুক কর্ণধার গোঁ মেরে ভীরের জনতা হেসোর কোপান
বাবু এট্টু রক্ত দেও বাছারা উপোস,বাবু এট্টু রক্ত দাও---
  খুনের রক্তে স্বাদ নিল হেঁকে বারংবার অট্টহাস ভরে
    আঁজলা ভরে কত রক্ত নিল বুঝি শিশুদের তরে
                 আপন মনেতে  গেল ফিরে :
                  "জোতদার তোমার রক্ত চাই  
      রক্ত খেয়েবাঁচতে চাই,জোতদার তোমার রক্ত চাই
                     রক্তখেয়ে বাঁচতে........।''