জানি ফিরে যাবে বেলা খেলা শেষে হেলাফেলা
অনাদর বঞ্চণায় নেপথ্যে কি বিষম অবহেলা
জানি পিছে রবে কর্মভার এ-যাবত্ অধিকার
কালের পাথর তলে রবে যে বিফল চিরতর্
স্মরিবে না দিয়েছো যা উদ্দীপনা হেতু অনুদান
কেবলই নিন্দে-মন্দ দ্বন্দে মগ্ন কাছের সুজন
জমিয়ে আড্ডামোহ কত স্মৃতি রবে সেই পটে
বৃত্তান্ত শুনাবে তব শবলী শান্ত হবে অবনীর তটে
রবে পড়ে টুকরোখানি ভুলে কে যে লবে আনমন
বলবে জানিনা কে যে কি নাম রেখে গেছে অভিমান
পৃথবী শূণ্যতল তোমাদের কোলাহল গাঁথা সংবর্ধণ
জানি কোথাও রবেনা চিহ্ন তার রহস্য অন্তর্ধান
শুধালে বলে দিবে শরীরে রোগের হেতু নয় সাবধানী
জানি কেউ ডাকবে না জানবে কেবল অন্তর্যামী
যাবে বেলা সয়ে হেলা এক।দুই ফুরাবে অন্তর্ঘাত
পাঁকে ফেলে,প্যাঁচে ফেলে কত যে নিয়ম দিনরাত
মুখে চোখে মৃদু হাস নাই কোনো হাঁসফাস নির্দয় কষাই
লোক চোখে ভদ্রতা আড়ালের হিংস্রতা যেন নির্দিধাই
দেখায় অন্য রুপ মরণ মারণ রুপ তবুও সদাই
মঞ্চের আর্দ্রতা বেড়ে চলে ব্যস্ততা সম্মেলনের রোশনাই
ঢেকে দোষ পরিমাণ অবিরাম আলোর ঝলসাই
শোষকের জয়গান কেউ পাবে সোনার স্তবক
কেউ কানাকড়ি শেষে ফিরে যাবে ম্লান হেসে-
তবুও আড়ম্বরটুক থাক্।