ছোটবেলা থেকেই জ্যামিতিক নকশা আঁকার খুব শখ
কখনো আঁকিবুকি গুলো বিচিত্র ছবির রুপ নিত
পশু,পাখি,মানুষ,লতা আবার কখনো রুপকথার
কত যে চরিত্র ,তেমনই বিচিত্র রেখাগুলি মিলেমিশে
কখন যেন কবিতা হয়ে গেল,কোচিং স্যার বলতেন,
" ধ্যুত্এটা কবিতাই না,
ক্লাশে রেজাল্ট খারাপ হবে',
অভিভাবকের বকুনি,"ওসব চলবে না,"
অজান্তে আমার নকশা দেশ-বিদেশের সীমারেখা ছুঁইয়ে
গোর্কি,চিন,জাপানের হৃত্পিন্ড ছুঁয়ে মায়নামারের স্বপ্নজগতে
সবেমাত্র বিচরণ করছে একটু একটু করে বাস্তব হচ্ছে
পরিপূর্ণ কবিতা,ওরা কেড়ে নিল সরঞ্জাম গাদা বইয়ের স্তূপ
আর নিয়মিত হলো আমার রুটিন ছত্রভঙ্গ হল সব
মস্তিষ্কের মধ্যে দাপাদাপি কতগুলি রেখা
কত প্রজাতি,কত উপস্থাপণা,কত কাহিনী
বন্ধ হল আঁকিবুকি অসাধ্য গরমিল,
সবেমাত্র ছন্দমিল ধরেছি,বাবার বকুনি,"এ্যলজেব্রা,জিওমেট্রি"?
থতমত,"না বাবা,হ্যাঁ বাবা,এই এক্ষুনি বাবা,"
পাষন্ড বাবা একটানে দুইভাগ কবিতার খাতা
ডায়েও মেলেনা বায়েও মেলেনা আমি উজবুক্ শ্রেণী
কোন ফর্মুলা নেই কেন যে থাকতে নেই বুঝিনি তখনও
নকশায় নকশায় ছেয়ে গেছে ঘরদোর পাশে শুধু সে নেই
বারেকের দোষ-গুন নিয়েছিলো বেমালুম বলেছিলো,
"সতেজ লেখনী।"
আমার নকশা আঁকা স্থগিতের পাশে রাখা ডাস্টবিন স্তূপ
আজও আছি অবহেলে দুনিয়ার স্যারেদের-
সিটকানো মগজ ধোলাই।
আমি যেন,পরাহত গরমিল শ্রেনী,কাকুদের ওঠানামা ভুল ফর্মুলা
যেন আমি অনাহূত বিনা টিকিটের গচ্ছিত কোন ভন্ডামী ।