আজ এই চৈত্র্য প্রখর যদি চাও,আমি-রবো
নব ঘনমেঘ টুকরো আলাপে প্রসন্নতা হবো।
বিকেলের ঘনরাগ মেখে  মধুমোহ আহ্লাদে
কাছ ঘেষে মৃদু সৌরভ আবেশ আনন্দেতে-
হাওয়া হয়ে নাচন মেতে উঠবো ঘূর্ণি হয়ে
রোদ গায়ে লেগে প্রজাপতি  উড়ান দিয়ে।  
চাও যদি আলো কত রুপে জ্বালো হিঁয়ার আশা
কয়ে যাবো কানে মৃদু আনমনে জীবন সর্বনাশা।
নানা অজুহাতে কত না ভ্রমেতে তোমায় দেখার ছল্
পারি দেব দূর নিকট যাদুর ছোঁওয়া রবে অবিচল্।
প্রতিদিন শুধু খেলা ছলে এই হৃদয় মেলার ক্ষণ
রেখে দেব স্মৃতি সুমধুর অতি তোমার আমন্ত্রণ।
এলে বৈশাখ আম্র মুকুলে আমার হৃদয় দোলা
বাতাসের ঘ্রাণে রবে আনমনে সেই উদাসের বেলা।
গুঞ্জরি অলি পরাণ আকূলি মধু ঘ্রাণ আসা-যাওয়া
আমারই বারতা কহে যাবে কথা অতি চুপিসার ব্যাথা।
যবে দিকে দিকে সাজো রব উঠে আকাশের পেজা মেঘ
দেখিবে আমিও সেই স্তর হয়ে রয়ে গেছি সে আবেগ।
আষাঢ়ে বরষা ঝরিব ভরসা প্রেয়সীর রাঙা চোখ
মায়া মোহে জেগে কত না আবেগে মুর্ছনাময় শ্লোক।
নহি পরবাসে তোমারি সকাশে রহিব নিত্য বেলা
হেথা হোথা রব অতলে লুকাবো কভু রব অবহেলা।
বিস্মৃত ক্ষণে ভুলিবে যেক্ষণে দুঁয়ো দেবো  সহসা
সমুখে দাঁড়াবো ভুলিতে না দিব আসে কভু দুরাশা।
যদি অবহেলা ফিরিবার বেলা চলে যাও আনমনে
ছিন্ন হিঁয়ায় বাঁশরী বাজায়ে তোমারই লব চিনে।
বল  কেন কি বা কাজ হেন কয়ে দেব এ হৃদয়
অকারণ তোমারেই মন খুঁজেছিল জেনো সহসায়।
যতদিন রবো অকারণ সবো যত আসে বাধা বিঘ্ন
তোমার আমার প্রেম গাঁথা রবে চির ইতিহাস মগ্ন।