একটি জাতির ভাগ্য লিখা হবে,
মর্মে লেখকের সন্ধান করা হচ্ছিল।
অনেক লেখক,পর্যায়ক্রমে আসলেন।
আঁকতে চেষ্টা করলেন -
নিপীড়িত, নির্যাতিত, হতভাগাদের-
ভাগ্য পুনরুদ্ধারের কাজ।
কেউ কেউ এগুলেনও খানিকটা।
কিন্তু, হতভাগাদের ভাগ্য লিখন বলে কথা!
এতো সহজে কি লিখা যায়?
জাতি চেয়ে থাকলো অদৃষ্টের পানে।
একদিন হঠাৎ ভেসে এলো কানে-
যে যেখানেই থাকো চলে এসো ৭ই মার্চে,
রেসকোর্সের ময়দানে।
হতভাগাদের দল আসতে থাকে।
শত,শত,হাজারে,হাজারে।
এটা দেখতে,কে সে?
যে কিনা তাদের ভাগ্য পুনরুদ্ধার করতে পারে।
লেখক আসলেন।ঘোষণা দিলেন-
ভাগ্য পুনরুদ্ধারে তাদের সহযোগিতা ছাড়া ভাগ্য লিখন সম্ভব নয়।
হতভাগারা অবাক! এও কি সম্ভব?
তিনি বোঝালেনঃ
যদি শুধু বিশ্বাসটুকু থাকে,
তাহলে অবশ্যই সম্ভব!
এক অলৌকিক যাদুতে বিমোহিত হলো সবাই।
শুরু হলো ভাগ্য পুনরুদ্ধারের লড়াই।
দীর্ঘ ন'মাস।
নিদারুন উপলব্ধির এক সুদীর্ঘ ইতিহাস।
অতঃপর, তিনি তাদের হাতে তুলে দিলেন-
লাল-সবুজের পতাকা।
যেখানে ছিল  তাদের অদৃষ্ট আঁকা।
আজ তারা নেই।
আমি তাদের রেখে যাওয়া  -
সেই পতাকার উত্তরসূরী।
এই পতাকা আমি বুকে জড়িয়ে -
আজ জগৎ ঘুরি।
এই পতাকাই আজ আমার পরিচয়।
বিশ্ব মানচিত্রে এক খন্ড ভূখণ্ড!
আমার ভাগ্য!
আমার অদৃষ্ট!