বাবা!
আমি নিজের অজান্তেই পুরোপুরি তোমার মতই হয়ে যাচ্ছি!
আগে তোমার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ কম ছিল না।
মুখফুটে কিছু বলতাম না,
তাই বুঝি তুমি কিছুই বুঝতে না।
কে জানে? হয়তো বুঝতে পেরেও কিছু বলতে না!
আমি যখন তোমাকে কখনো হাসতে দেখতাম না,
কিংবা মায়ের কোন কথায় চটে যেতে দেখতাম,
বড়ই অবাক হতাম!
আজ আমি নিজেই হাসতে ভুলে গেছি।
নিজেকে আগের মতো আর স্মার্ট রাখতে পারিনা।
আমার গায়ের গন্ধ,পাশের জনেরা এখন অনায়সে বুঝতে পারে।
আমার এ বুকে এক সময় যে, মাথা না রাখলে ঘুমাতে পারতো না, এখন তার কাছেও আমার গায়ের গন্ধটা উৎকট লাগে।
কথা শুনতে হয় আপন জনের কোন বিশষ দিন মনে রাখতে না পারার জন্য,
ভবিষ্যৎ নিয়ে কোন কছু না ভাবার জন্য।
আমি তাদের কিছুতেই বোঝাতে পারিনা যে,-
বর্তমানের শিকল থেকেইতো আমি মুক্ত হতে পারছি না,
ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি কখন?
শরীরেও বাসা বেঁধেছে নানা রোগ, তার পরে আছে
রোজ দিনকার আয়-ব্যায়ের হিসাব মেলাতে -
নিত্যদিনের দুর্ভোগ!
কাকে বলি- আমি যে আর পারছি না!
আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে-
আমি বড্ড সেকেলে,বর্তমানের সাথে পুরোটাই বেমানান।
আমি নিরুত্তর থাকি,চেপে রাখি আমার অভিমান।
আজ আমাতে আর তোমাতে অনেক মিল,
অন্তত: দেরিতে হলেও বুঝেছি আমি।
কিন্তু তারা কি কখনো বুজবে আমায়-
যাদের বোঝা বয়ে চলেছি আমি?