আমি আমার শরীরটা থেকে মুক্তি চাই।
আমি জানি, জীবদ্দশায় এর কোন উপায় নাই।
তবু মুক্তি চাই, বারবার ই মুক্তি চাই।
শরীরটা আজ বড্ড বেশী বোঝা,
একটু খানি শান্তির জন্যই শরীরমুক্ত জীবন খোঁজা
শরীরটার উপরেই আজ কত মান -অভিমান।
জীবনের দাবি পূরনে,শরীরটা পুরোটাই বেমানান।
শরীরটাতেও তো ভাগ অনেক..........!
পিতা-মাতার ভাগ, স্ত্রীর ভাগ,সন্তানের ভাগ,
আত্নীয়ের ভাগ, প্রতিবেশীর ভাগ,সমাজের ভাগ,
দেশের ভাগ...........!
ভাগাভাগির দাবিতে,
একটি শরীর কজনকেই বা দেওয়া যায়?
দিতে না পারাটাও তো একটা বড় দায়!
সবাইতো প্রতিক্ষায়, অপেক্ষায়-
তাদের পাওনাটা যেন মিছে হয়ে না যায়।
সবার নজরতো আমার শরীরটায়,
কেউতো চায় না আমায়।
একদিকে ভাগিদারদের বায়না,
অন্যদিকে অন্ধকারের আয়না।
এখন ভালো লাগে আঁধার,
কারন: যাতে কেউ আমায় খুঁজে পায়না।