খুঁড়িছো হাজারো সমাধি,
খনন ও চলিছে নিরবধি।
লক্ষ্য,খুঁজিয়া পাওয়া
হাজার বছরের ইতিহাস,
কিংবা সভ্যতা।
কি লাভ তাহাতে?
রচিবে ইতিহাস?
সময়ের আবর্তনে রহিবে কি তা অক্ষত?
নাকি তাহাও হইবে ক্ষত-বিক্ষত?
কেউ লিখিবেঃতাহারা এমন ছিল,তেমন ছিল,
সভ্য অথবা অসভ্য ছিল।
কিবা তাহাতে আসে যায়!
বরং যাহারা এখনো বাঁচিয়া আছে,
নিদারুণ কষ্ট আর ক্ষুধার জ্বালায়,
একটু খানি ভাবিয়া দেখো,
তাহাদের জন্য কি কিছু করা যায়?
অবশ্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে,
যাহারা ঘুমায় লেপের উষ্ণতায়,
তাহারা কমই বুঝে তাহাদের কথা,
যাহারা অর্ধাহারে, অনাহারে থাকিয়া
খোলা আকাশের নিচে ঘুমায়।
ইহাদের কাছে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত
কানে বাজে একই গীত।
মাঝে মাঝে প্রচন্ড শীতে
রাস্তার কুকুরটি ওদের গা ঘেষিয়া ঘুমায়।
হইতে পারে সমবেদনা জানায়।
একটা কম্বল কিংবা সামান্য খাবারের আশায়,
কত জনই তো পদদলিত হইয়া যায়,
স্থান পায় বড় বড় পত্রিকার পাতায়।
তবুও তাহারা বাদ পড়িয়া যায়,
তাহাদের খুঁজিয়া পাওয়া যায়না
সভ্য মানুষদের নামের খাতায়।
কিন্তু কেনই বা এমন হয়?
তাহাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা,
কেনই বরাবরই মরণোত্তর,
কেন নয় তাহাদের জীবদ্দশায়?