মনে আছে ঐন্দ্রিলা,
আমি জীবনে প্রথম
তোমাকে নিয়ে ভিজেছিলাম যে বর্ষায়?
তুমি কলেজ ফাঁকি দিয়ে এসে অপেক্ষায় ছিলে,
ঘোষবাড়ীর চৌরাস্তায়।
শ্রাবণের আকাশ!
সারি সারি মেঘের ভেলা।
তুমি আর আমি।
সাথে তোমার পছন্দের সেই ভ্যানওয়ালা!
সজোরে টানছিলোভ্যান ,
গন্তব্য ছিল অজানা।
ভ্যানওয়ালা বলে উঠে,
জোরে-সোরেই নামবে বৃষ্টি,
আর এগুনো ঠিক হবেনা।
তুমি বিরক্তিভরা কণ্ঠে বললে-
তুমি টানোতো ভাই কিচ্ছু হবেনা।
বলতে না বলতেই-
শ্রাবণের অঝোর ধারায় সিক্ত হলো তোমার বাসনা।
কাকভেজা হয়ে দু'জনেই গিয়ে ঠাঁই নিলাম-
রাস্তার পাশে এক টং চায়ের দোকানে।
খেসারত দিয়েছলো বেচারা ভ্যানওয়ালাও।
তুমি যখন তোমার ভেজা ওড়না চিপে নিয়ে
আমার মাথা মুছে দিচ্ছিলে,
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম তোমার শুভ্র মুখমণ্ডলের দিকে।
কত পবিত্র!  কত নিস্পাপ!
"ভাইয়া, আপু কিন্তু আপনাকে অনেক ভালোবাসে"।
আমি সহাস্যে তাকালাম ভ্যান ওয়ালার দিকে।
তুমি দুকাপ চায়ের কথা বললে।
আমি বললাম ও খাবে না?
তুমি বললে খাবে?
আর তুমি?
আমিও।
একটাই কাপ!
দুজোড়া আবেগি ঠোঁট একেঁ চলছিলো
এক পবিত্র প্রেমের সাতকাহন।
এখনো বর্ষা আসে।
তবে তুমি আর আমি
আর কখনো বর্ষায় ভিজিনা।
পাশাপাশি বসি বটে।
গল্পও করি।
কিন্তু সে গল্প বেশিদূর গড়ায় না।
শুরু হতে না হতেই পরিসমাপ্তি ঘটে।
সেদিনের সেই মাতাল করা আবেগ নিয়ে
এখন,
কারো দিকে কেউই আর তাকাই না।
কেন এমন হলো?
উত্তার খুঁজি আনমনে,
পাইনা!
এমনটাই কি চেয়েছিলাম?
নাকি চাওয়াতেই ভুল ছিল?