হামার এত্তি, আশ্বিন-কাত্তিক বার মাস।
কাঁহো নানে কামোত।
কয়খান মানসি বুদ্দি কইন্ন-
যামো হামরা টাউনোত।
চাঙ্গই, কোদাল নিয়া হানে
খাড়েয়া থাকিনো-
মেইন রাস্তার মোড়ত।
এংনা পরে বাস আসিল,
হামাক উঠির কইলে উফোরত।
পাইসা হামার কম দেখি,
নিলেনা হামাক ভিতোরত।
কনকনিয়া ঠান্ডা খানোত,
বসি থাকা না যায়।
লুঙ্গি খোলে ঢাকা নিনো,
মাথায় মুড়ায়।
বাস যাসে সাঁও সাঁও,
মুকদি না বেরায় আও।
মনটা কচ্ছে -কাপাল মারো
এইলা কামের,
এলায় মাম্ভি যাঁও।
এ রে ভিতর বা কি হইল,  
ধুপ করি একখান শব্দ হইল।
পাছ ভিতি চেয়া দেখি
হামার কুদ্দুস গেইসে পড়ি।
রাস্তাখানোত এমাথা-ওমাথা
অয় দেসে গড়াগড়ি।
সোগায় মিলি হামরা সেলা
শুরু কইন্ন চেচারি।
বাস থামাইতে দৌড়ি গেইনো
কুদ্দুস যেইঠে গেইসে পড়ি।
মাথা ফাটি রক্ত বেরাসে,
মুক দি বেরাসে ফেবনা।
হামরা ধইন্ন কান্দিয়ার,
চেচেয়ার ধইল্লে আতিয়ার-
দৌড়াও বাহে,দৌড়াও তোমরা!
গাড়ি আনো, কুদ্দুসক ওঠাও
নিগাও বাহে হাসপাতাল।
কুণ্ঠে পাই গাড়ি সেলা,কেংকরি কি করি?
আংসাং কইত্তে বেলায় সারা,
কুদ্দুস গেইল মরি!
দেখিয়ার মানসিক ঠেলা না যায়,
কামের মানসি নাই!
কামোত নাগিল না
হামার হাত-পা ধরা,
আল্লা মাবুদের দোহাই।
ঐদিনে বুজিসি হামরা
ইই দুনিয়াখানে ধনীর তানে,
গরীব এইঠে সাঁও!
এইঠে কাঙ্গাল যুগুল চিকরি মরে,
কাঁহোঁ কারেনা আও।


বিঃদ্রঃ রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত।