রোজ রোজ মরে যাওয়ার চেয়ে,
একদিন মরে যাওয়াই তো ভাল, পলাশ!
তোমার জীবদ্দশায় তুমি
কারো সহানুভূতি না পেলেও,
আজ হৃদয় নিংড়ানো সহানুভূতি কুড়িয়েছে —
রোজদিনকার মৃত্যুযন্ত্রণা থেকে মুক্ত তোমার লাশ!
কত কথা, কত গবেষণা আজ তোমাকে নিয়ে।
কি হবে আর এসব দিয়ে?
ভাল থাকুক বাকিরা সব, নিজেদের মত করে।
তুমিও আজ বাঁধন ছেঁড়া পাখির মতো মুক্ত!
শান্তির নিঃশ্বাস নাও বুক ভরে।
ধর্মের বিচারে হয়তো তুমি নরকে যাবে।
যেখানে ছিলে, সেটাও কোন নরকের চেয়ে কম ছিল?
যে পুড়ে, সেই কেবল বোঝে নারকীয় দহনের জ্বালা।
নরক বোধহয় এরকমই!
নরকে সবাই একা — সঙ্গে থাকাটা কেবলি অভিনয়।
এখানে রোজ রোজ নরকে পুড়ে অঙ্গার হয়েও,
স্বর্গের হাসি হাসতে হয়।
সবকিছু মিথ্যা, বানওয়াট জেনেও মিশতে হয়।
বিষাক্ত সম্পর্কে নীল হয়ে যাওয়া হৃদয় নিয়েও,
‘ভালো আছি’ বলতে হয়।
কী নির্মম, এই নরকের অভিনয়!