যুগে যুগে তিক্ত মরণপণ মুক্তি-সংগ্রাম
ভাষার মর্যাদায় রক্তপিচ্ছিল রাজপথ
পথ হারিয়ে রেলগাড়ি ঘা মারে সময়ের পাঁজরে
দুমড়ানো মোচড়ানো অবসর
বেলা বহে জাপটে ধরা বিরতির শ্যাওলা জমা স্থবিরতায়
প্যারানয়া ব্যাধিতে আত্মভোলা ভ্রান্তিবিলাস
বৈরী সূর্যের প্রখর তাপে ঐতিহ্য পুড়ে ছারখার
আত্মঘাতী বিভেদের বীজে পরিণত বৃক্ষ।


বুদ্ধির ঘটের মধ্যে উপনিবেশ খেলা করে
ঠিক ঠিক বিন্দুতে চিন্তার নোঙর পড়েনি
অনুক্রিয়াজাত শিরোভূষণ, ঝলমলে সজ্জিত মস্তক
চিন্তাবিবরে ওদের নিয়ত ঘুরপাক, খাবি খায়
স্বয়ঙ্কৃত দিশাহীনে দিশা দেবে কী !


ওরা অধিপতি বুদ্ধিবাদী
প্রশ্নের বুকে ছুঁড়ে মারে বাণ
অচলায়তনে গণবুদ্ধিবৃত্তির টুঁটি চেপে ধরে
যেন অনন্তকাল ক্ষমতার বলয়ে
ওরা স্থায়ী আসন গেড়ে রবে!


চিন্তাবিবরের মাঝ বরাবর বিশাল এক শূন্যতা
শূন্য ফোকর হতে তারুণ্যের কণ্ঠে হায়দারী হাঁক
সিংহ-কেশর দোলানো দু-বাহুর ঊর্ধ্ব ঝাঁকুনি
ভূমিকম্পে কাঁপে থরথর
ওদের স্বপ্নের প্রাসাদ লুটিয়ে পড়ে ধুলোয়।


ফিরোজ, মগবাজার, ২৯/০৭/২০১৯