আকাশে মুখ করে পাথর-পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি
সেখানে নক্ষত্রের ঐশ্বর্য ঘেরা রহস্যময় উদারতা
- কিছুটা বিম্বিত হয় যদি!
বিক্ষিপ্ত মেঘে মেঘে-
ডুবে যায় স্থির বিস্তীর্ণ নীল শাড়ির আঁচল
কে তুমি?
- ত্রস্ত হাতে কেড়ে নিলে স্বস্তি
কেড়ে নিলে নীল দিগন্তের রোদেলা হাসি।


কোমল ঊর্মিতে দুলে দুলে-
তন্ময় ভেলায় মুহূর্তকাল ভেসে থাকি মহাসমুদ্রে
ফেনায়িত বুকের অতলান্তিক প্রাচুর্য সেখানে
- ছুঁয়ে যায় নিঃসীম বিশালত্বের জ্যোতি
অনুপম রূপমুগ্ধ মধুরতায় দৃষ্টির জড়তা
নয়নে জমে থাকা অগাধ তৃষ্ণা মিটে যায় যদি!
তেজস্বী ঘূর্ণি হাওয়ায়-
উত্তাল তরঙ্গ, ঘিরে ধরে সীমাহীন অন্ধকার
কে তুমি?
- ত্বরিত বেগে কেড়ে নিলে প্রশান্তি
ঠেলে দিলে তামসীর যাত্রা পথে।


প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে, ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি-
গগনে উঁকি দেয়া নারিকেল-দেবদারু বৃক্ষের সারিতে
সম্মুখের বিস্তৃত প্রাঙ্গণে সবুজের খেলা
ঢেউয়ে ঢেউয়ে সংগীতের মূর্ছনা বাতাসে
- সবুজের সজীবতায় প্রাণ ভরে যদি!
কি নিদারুণ খরা! শুষে নেয় জমিনের আর্দ্রতা
ঠনঠনে মাটি শোকাতুর, নির্জীব
কে তুমি?
নিষ্ঠুর ক্ষিপ্রতায় বয়ে দিলে মরুভূমির লু-হাওয়া
কেড়ে নিলে সজীবতা।


এ কি দাহ!
দুঃসহ যন্ত্রণা, জ্বলে পুড়ে ছারখার
নিঃশেষ যাতনার এ কি ভয়ঙ্কর বিস্ময়!!!


ফিরোজ, মগবাজার, ২৬/০৯/২০২৩