দুনিয়াটা খোদার দান
আর মানুষের পদাঘাতে গড়ে ওঠে বিষণ্ণ শহর থেকে শহর
তিক্ততার খসড়া প্রান্তরে খুঁজে ফেরা আকাঙ্ক্ষিত জীবন আর মিষ্টতার স্বাদ
উচ্চ প্রত্যাশার পারদে-
নেতিয়ে পড়ে প্রকৃতির অপরূপ নির্মলতা
অবারিত সবুজের বন, ধান ক্ষেত, পাট ক্ষেত
মানুষের দুর্বিনীত পদাঘাতে হারিয়ে গিয়ে শূন্য - হাহাকার


একদা বীজ এবং বীজের প্রাচুর্য ধর্মঘটে হয়ে গেলো হাইব্রীড
শিল্পের অসহ রূপান্তরে কেবলই বৃদ্ধি পায় দুনিয়ার বুকে মানুষের পদাঘাত
আলস্যে সজীবতা মরে গেল
আগুন-আগুন জ্বলে, গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়া
পাহাড়, নদী, সমুদ্র, ছায়া সুশীতল বন-বনানী সবই হয়ে গেল বিরান উঠোন
চাঁদের আলো পিছলে যায় বারবার
পত্র-পল্লব-পুস্পরা ঘুমিয়ে পড়ে
পাখিদের বেসুরো গানে ঝরে পড়ে নিঃশেষ হবার বেদনা
কোকিলের সুর কেন বেসামাল?
ইলেকট্রিক প্রদীপের শোভাযাত্রায় ঝকমকে প্রাঙ্গণ
পারমানবিক কর্মযজ্ঞ, ভু-উপগ্রহ, বিনোদন চ্যানেল, যোগাযোগ উপকরণ
বর্জ্য হয়ে হিংস্র থাবা ফেলে নির্মল প্রকৃতির কোলে


কোমল অন্তরই একমাত্র প্রকৃতির বন্ধু হয়
মোলায়েম জ্যোৎস্নায় ভিজে যায় মন
সজীবতার অমিয় পরশ নিয়ে বৃক্ষেরা জন্ম নেয়
চঞ্চলতার উছলি আবেশ নিয়ে জীবেরা প্রাণ পায়
নৈয়মিক সালোক-সংশ্লেষণে পত্র-পল্লব জেগে ওঠে
বন-বনানীর প্রাচুর্যতে পাখিরা গান গায়
মৃদু-মন্দ বাতাসে নিঃসীম সাগরের ফেনায়িত জল
অথচ ক্রমাগত বিশৃঙ্খল পদাঘাতেই তোমার যত আনন্দ
আর তোমার কথিত আনন্দই সকলের বিপর্যয় ডেকে আনে
এমন অজ্ঞানতার সুখে দুনিয়াটা জর্জরিত


দুনিয়াটা খোদার দান
মানুষের অবিরাম অসম পদাঘাতে
দুনিয়ার বুকটি গোখুরার নীল বিষে দংশিত নিরন্তর
বৈরী দুশমনও যা কখনো পারে না
প্রকৃতির বহুমুখী শৃঙ্খলা সহসাই ধ্বসে পড়বে।


ফিরোজ, মগবাজার, ১৩/১২/২০২২