ঘুমের বাতায়ন খুলে
একটুখানি জীবন্ত স্বপ্নের কথা বলব
তুমি সুখী হও
দিন রাত্রির প্রতিটি মুহূর্তের নিমগ্নতায়
তুমি ভীষণ খুশি হও, সুখে থাকো
মাটি ভেদ করে নারকেল বৃক্ষের শিকড়ের সাথে
আরো দৃঢ় হও জীবনের আলিঙ্গনে
যার নির্যাসে সুমিষ্ট পানীয়ের মদিরতায়
মহাকালে জড়িয়ে থাকো
প্রতিদিনের আমোদিত আহ্লাদের বিকেলে
নূপুরনিক্কণের সুর শুনবো বলে
তোমার আঙ্গিনায় দূর্বা ঘাস হয়ে শুয়ে থাকি
শিশির সিক্ত সকালে তোমার পায়ে দলিত-
সে ঘাস শিহরিত হয়
তোমার কর্ণযুগলের পাশ দিয়ে
বাতাসের হিস হিস শব্দ তুলে চলে যাবো
একটুখানি আড় চোখে একবার তাকিয়ে দেখো।


পাঁজরার খামের ভিতর বিদীর্ণ কলিজার রক্তে লেখা চিঠি
সে চিঠির প্রতিটি অক্ষরে মিশে আছে প্রার্থনা
তুমি সুখে থেকো, অনন্ত ভালোবাসায় ভালো থেকো
পড়ন্ত বিকেলের নীল দিগন্তে একটি গোধূলির কথা বলব
হৃৎপিণ্ডের অন্তঃপুরে মহাসমুদ্র
উলটপালট ঘূর্ণিঝড়ে তোলপাড়, উত্তাল তরঙ্গ
বিদায় … ! ঘুমের বাতায়ন খোলা একটি জীবন্ত স্বপ্নের পতন
মহাসমুদ্রের গভীরতায় ডুবে গেল কোলাহল
নির্বাক-নিস্তব্ধতায়
তোমার অনুভূতির একটি শিশির বিন্দুতে
একবার হলেও পলক ফেলো।


ফিরোজ, মগবাজার, ০৬/০৩/২০২৩