লবণাক্ত জলের স্রোত চিরে মহাসমুদ্রের তলদেশে
ডুবতে ডুবতে ডুবে গেলাম
অসংলগ্ন ঝাঁজালো সন্তাপ, পূড়ে পুড়ে
হয়ে গেলাম কয়লার কালি
যত আপন কথা ছিল সব ভুলে গেলাম
কালো বর্ণমালা সাদা হয়ে গেল, হারিয়ে গেল নিরুদ্দেশে
শূন্যে ভেসে ভেসে এখন নিরানন্দের গান গাই।

হে বেদনার মেঘ!
তুমি বৃষ্টির কণা হয়ে ঝরে পড়ো পর্বতে
ঝরে পড়ো জমিনে, ঝরে পড়ো সমুদ্রে
নতুন বৃষ্টির স্রোত, নদীর বুকে সুমিষ্ট পানির ঢেউ
ভিজে যাওয়া মাটিতে মাথা তোলে নতুন কিশলয়
বর্ণমালার নবজন্মে ভিজে যায় অন্তর
নতুন কোন গল্পের পাঠ, গান কিংবা কবিতায় অবগাহন
হঠাৎ কোন ঝড়ো হাওয়ায় ফিরে আসে অতীতের স্মৃতি
আবার মিলিয়ে যায় ঝড়ের বেগে
কর্কশ অপবাদে, আরোপিত অভিযোগে চাপা পড়ে স্মৃতিচিহ্ন
একেবারে অন্ধকার রাত্রির গহ্বরে।

প্রভাতের সূর্য ওঠে, আবার অন্ধকার নামে দিগন্তে
বয়ে যায় কালের প্রবাহ
ক্ষণকালের স্মৃতিকাতর উদাস হাওয়ায়-
উত্তরহীন একতরফা প্রশ্নের সমাহার
অতঃপর সবুজ হয় বৃক্ষ নতুন পত্র-পল্লবে
পুরাতন পাতারা ঝরতে থাকে ক্রমাগত
সম্পর্কের সুতোগুলো ক্ষয়ে যায় কালে কালে
একদিন ছিঁড়ে যায় সুতোর বাঁধন
ফুলের পাপড়ি সদা তৈরি থাকে ঝরে পড়ার অপেক্ষায় ...

ফিরোজ, মগবাজার, ২৪/০৫/২০২৫