কিছু কিছু কষ্ট মিশে যায় সমুদ্র সফেন ঢেউয়ে
    ভিজিয়ে দেয়, আছড়ে পড়ে তীরে;
কিছু কিছু স্মৃতিমাল্য মনোসিন্ধুকের সুগভীরে
   সংগোপনে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখে দেয়া;
    কত অভিমানের নেই কোন ভাষা
    জমে থাকে কঠিন শিলাখণ্ডের মতো-
চৌকাঠে, কামরাতে কিংবা দেয়ালের ভাঁজে ভাঁজে;
  যদিও একটুখানি উষ্ণতায় বরফ গলে যায়
কিভাবে তরল হতে হয় শিলাখণ্ড তা জানে না।


মনোমন্দিরের প্রাঙ্গণে শোভিত ফুলের বাগান
  সেখানে হানা দেয় ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া
  অবিরত পাপড়ি ঝরে, ঢলে পড়ে গাছেরা
     লুটিয়ে পড়ে মৃত্তিকার উপর;
সেখানেই থেমে যায় পৃথিবীর মজনুদের মনোবীণা
      ধূসর মেঘ জমে হৃদয়াকাশে;
  সেখানে জেগে ওঠে নারীর মতো অবয়ব
       রঙে দোলে কপালের টিপ
      নোলকের ছায়া নড়ে বাতাসে
      বাতায়নের পর্দাতে ভেসে ওঠে-
       নারীর ঠোঁটের মতো হাসি
ঘুঙুরের উচ্চণ্ড নৃত্যরত ছোবলে গোখুরার বিষ দাঁত
     কেড়ে নেয় অনুবল, স্পৃহা যতকিছু;
    তারপর ছেড়ে দেয় ব্যবহৃত পোশাকে
     বয়ে দেয় কোমল হাসির ফোয়ারা-
      খোলামেলা অন্য কোন উঠোনে;
     অনুপম সর্বনাশে ঘুণ ধরে চৌকাঠে
        ধ্বসে পড়ে মনোমাকাম।


    পরিপাটি বহিরাবরণ, মুখাবয়বও কঠিন
        পুরুষের চোখে নেই জল-
বুকের কন্দরে বেদনার হিমালয়, সাত সমুদ্রের জল
ব্যথা পায় ঘরে-বাইরে, ঘাটে-মাঠে-তীরে-বন্দরে
  পুরুষেরা কাঁদে না, দুঃখ রাখে গভীর অন্তরে
        যার কোন নেই তল;
একটুখানি উষ্ণতায় যদিও বরফ গলে যায়
কিভাবে তরল হতে হয় শিলাখণ্ড তা জানে না।


ফিরোজ, মগবাজার, ১৯/০৯/২০২৩