বিশ্বাস নেই কবিতার কোনো আঙ্গিকে
সব ব্যাকরণ ভুলে যাও
নতুন করে নিজের মতো শুরু হোক
প্রথম কবিতা যেভাবে লেখা হয়
কিংবা তুমিই কেবল শেষ কবি


হে কবি ! তেজোদ্বীপ্ত তারুণ্য
পড়েছো কি, আমাদের মরচে ধরা বৃদ্ধ কবিতাগুলো ?
লম্বা হতে দিও না সেসব
সকল ভ্রান্তিবিলাস ছুড়ে ফেলো দূরে-বহুদূরে
শুদ্ধতার উদ্দীপ্ত ধারায় উদ্ভাসিত হোক
মর্মবেদনার গ্রন্থগুলি


সত্য যদি হয় সাদা, সাদার উপর লিখে দাও
কাক-কালো কালি দিয়ে
সত্য যদি হয় কদাকার, কালোর উপর লিখে দাও
মরীচিকার মায়াবিনী রৌদ্র দিয়ে


বাজপাখি-ঈগলের সাথে লড়তে হলে  
ওদের মতো আকাশে উড়তে হবে
ললনার প্রেমে পড়লে
একাকার হয়ে যাও আমরণ অনুরাগে


জীবন বড্ড ছোট্ট, চিন্তার চেয়েও অল্প
তবু সেটা ভাবনাতে আসে না
আতঙ্কিত অবেগি কল্পনা, যদি আঁকড়ে ধরে দিশাহীন মৃত্যুভয় !
দীর্ঘতপাঃ কুসুম-কোমল স্বপ্ন
এক মহাঝড়ে একবিন্দু নড়ে না


আমরা কবি, তুমিও কবি
স্বচ্ছতা বিরাজিত আমাদের কবিতার গভীরতায়
তোমার পথ অনেক, সেসব পথে অসমাপ্ত রহস্য
পথের যাত্রা কভু উত্তলে, কখনো-বা অবতলে
উত্তল - অবতল, পথের অভিমুখ দিগন্ত


প্রজ্ঞা ও বিজ্ঞতায় দ্বিধাহীন উজ্জ্বলতা
তারুণ্যের সমাপ্তি ডাকতে পারো কাব্যিক পক্কতায়
তবে প্রজ্ঞাময় কাব্য এক শীতল গীতবিতান
নিদ্রাবিহীন রাত্রির মতো কবির পথ বড়ো দীর্ঘ
কখনো সমতল, কখনো পাহাড়, কখনো খরস্রোতা নদী
কখনো কন্টকাকীর্ণ গিরিপথ
আপন স্বপ্নাভিমুখে চলতে চলতে
সম্মুখে হয়তো পদ্মফুলের হাসি
না হয় কোন নির্দয়-নিষ্ঠুর ফাঁসির কাষ্ঠ

বন্দি একলক্ষ পাখি
একটি বন্য পাখির সমান হয় না
একটি দীর্ঘশ্বাসের কবিতা গোরস্থানে প্রস্ফুটিত ফুল
একটি অভিশপ্ত কবিতায় গারদের ভিত ধ্বসে পড়ে
একটি প্রজাপতি কবিতা নীল আকাশে পাখনা মেলে


হে দীপ্তিময় বিকশিত তরুণ কবি ! তোমাকে অভিবাদন, সালাম …


ফিরোজ, দিলকুশা, ১৮/১২/২০১৯