শিকল ছিঁড়ে, আর
শৃঙ্খল ভেঙ্গে ভেঙ্গে স্বাধীনতা প্রাণ পায়
একটুখানি বিশ্রামের ঘর-
শেষ বিকেলে নীড়ে ফেরে পাখি
সবুজের ধানক্ষেত বাতাসে নেচে ওঠে
বুকের মধ্যে খেলা করে প্রসন্ন তৃপ্তির ঢেউ
গুনগুন গানে গানে সুখের স্পর্শ
আলপথ দিয়ে হেঁটে যায় কৃষকের মন …।


একদা পিঞ্জর ভেঙ্গে আপন নীড়ে ফিরেছিল পাখি!
রূপান্তরে সবুজের ধানক্ষেত সোনালী হয়েছিল!
তৃপ্ত ছিল কৃষকের মনও!


তবু কেন বারংবার-
একটি ঘাসফড়িং ব্যাঙের মুখের উপর দিয়ে
ছিটকে পড়ে পানিতে, হাবুডুবু খায়?
শ্রান্ত-বিশীর্ণ সময় শুয়োরের খোঁয়াড়ে বন্দি?
প্রাঙ্গণে অনুকম্পনের নাচের আসর …?


এখন এ তল্লাটের-
উঠোনে নাচতে হবে - তবুও ঘুঙুরের শব্দ যেন না হয়
বাতাসে শ্বাস নিতে হবে - তবুও হৃদয়ে কম্পন যেন না হয়
ভাবনা ও বোধের এ-কি অদ্ভুত প্রত্যাশা!
অন্তর্ভেদী দৃষ্টি চলে গেল হৃৎপিণ্ডের তলদেশে
ভিতরটা দেখে নিলাম, আঁতকে উঠলাম
হে মহামতি - নেলসন ম্যান্ডেলা!
এখানেও কি অপেক্ষার অযুত প্রহর!
এখানেও কি হারিয়ে যাবে নওলি যৌবনের সাতাশটি বর্ষ!


ফিরোজ, মগবাজার, ১২/০৮/২০২৩