ফাগুনের আগুনে ফুলকি ঝরা বায়ান্ন কথা কয়
বাতাস কাঁপানো উনসত্তর কভু তা ভোলার নয়
মার্চের গর্জনে হুঙ্কার, নতুন কবিতায় বারতা
শোকাহত কালোরাত, এলো গনপ্রতিরোধে একতা।


হিংস্র হত্যা, গুলি, সবুজের পটে রক্ত ঝরানো রেশ
এলো ডিসেম্বর, আশা ভরসায় উল্লাসে ফাটে দেশ
তারও বহু বহু আগে, লক্ষ-কোটি শহিদের প্রাণ
স্বাধীনতায় নির্ভীক তাঁরা, অকাতরে করেছে দান।


মুক্তির স্বাদ ফুরফুরে বায়ু মনে দোলে স্বাধীনতা
জুলুম শোষণ আর নয় কভু, রবে না অধীনতা
বিজয় হতে আজ অবধি কত যে দিনের সফর
ভোরের সূর্য ডুবেছে অনেক, রাতও হয়েছে ভোর।


আজও কেন যে, কথার মুখে, সিমেন্ট আঁটা কংক্রিট?
কলমে কলমে আজও, কেন বাঁধা পচা শূককীট?


এখানে কেন পেশী ও দানবে বেঁধেছে আপন ঘর?
সর্বদা কেন জুলুম পীড়ন কেবলই হাহাকার?


স্বাধীনতা কেন বণিকের মাল, শঠের হাতে পণ্য?
কেন ঠগ-বদেরা ছিনা ফোলানো, সমাজে মস্ত গণ্য?
কেন দুর্নীতি সয়লাব, গুম, খুন, বৈষম্য, লুণ্ঠন?
তস্কর-হস্তে সম্পদ, তবে কেমনে সুসম বন্টন?


স্বাধীনতা কেবল, বেহিসাবী কবিতায় গুনগান
নাট্য পাড়ায় অভিনয় গানে কেটে যায় দিনমান
স্বাধীনতা তুমি মুক ও বধির, অন্যায় কারাগার
স্বাধীনতা তুমি ক্ষমতা-উর্দি মিলেমিশে একাকার।


তবে কি আবার নতুন যুদ্ধ, গর্জে ওঠা হাতিয়ার?
নতুন ফাগুন, নতুন আগুন, নতুন কারাগার?
স্বাধিকার অধিকার বঞ্চিত, ডাক আসে জনতার
কাঁদে ক্ষুধিত শিশু, মায়ের বুকে, বিদ্রোহী ধ্বনি তার।


ফিরোজ, মগবাজার, ০৬/০৩/২০২১