আমরা চাই না, তবুও তুমি জগদ্দল পাথর!
আঁকড়ে আছ আমাদের ঘাড়ে
যতই মিনতি করি - ছেড়ে দাও, চলে যাও …
তবু তুমি আমাদের কর্ণকে খামচে ধরো
জোরসে মারো টান
বাতাসে তরঙ্গ ওঠে - উহ! আহ! শব্দ হয়ে ভেসে বেড়ায়
প্রতিবাদের কণ্ঠ যখন ধ্বনি তোলে উচ্চ থেকে উচ্চতর
তুমি তখন আমাদের নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করো
কলম, ছাপাখানা, ডিজিটাল অঙ্গনের
নড়াচড়া একটু বেশি হলে
তুমি বিভ্রান্ত ও ভয়ানক ক্রদ্ধ হয়ে পড়ো
আমাদের আঙ্গুলগুলোকে কেটে ফেলতে চাও
বন্ধ করে দিতে চাও সকল প্রবেশদ্বার
পারলে মনন ও অনুভবের দরজা-জানালাতে-
তালা আটকে দাও
তোমার সকল অবাঞ্ছিত কর্মের নিষ্ঠুর বাহু হয়ে
অন্ধকার-নির্মমতার চাদর জড়িয়ে আছে হায়েনার দল
রুদ্ধতায় আমাদের ভিতর ও অন্তরঅঙ্গন
হয়ে পড়ে দমফাটা বারুদ
এখন একটুখানি থামো, দয়া করে বিদায় হও …!
কারণ, অসহায় নির্বাকের হঠাৎ প্রকাশ হয়-
অবিষহ্য বিস্ফোরণে কিংবা বন্দুকের নলে।


ফিরোজ, দিলকুশা, ২৪/০১/২০২২