মায়ের মস্তকাবরণে আমার মুখমণ্ডল ফেলে এসেছি
সবলে গেঁথে থাকা পাহাড়গুলো স্মৃতি হয়ে গেলো
আর হারিয়ে গেলো ।


শহরটি প্রবেশ ফটকগুলি ভেঙে দিল
আর সেগুলি জড় করা হলো জাহাজগুলির ডেকে
পিছনের মাঠে মাঠে ইতস্তত স্তূপীকৃত ঘাসের মতো
আমি হাওয়াতে হেলান দিলাম
অভঙ্গুর উচ্চতায় !

আমার মধ্যে কেনো দ্বিধা, তুমি যখন আমার সুদৃঢ় পাহাড় ?
দূরত্ব আমাকে চপেটাঘাত করে
সদ্য মৃত্যুর মতো চড় মারে প্রেমিকদের মুখে
আর কাছে এসে পেয়ে গেলাম পবিত্র স্তুতিগীত
ক্রমাগত অক্ষমতার মধ্যে বেড়ে উঠি ।


করিডোরগুলি বাঁধা পড়েছে শূন্যতায় !
কখন আসতে পারবো ? ...
যে নিজের ত্বকে গুটিয়ে পড়েছে সে-ই ধন্য হয় !
যে কোনও ভুল ছাড়াই আসল নামটি উচ্চারণ করে সে-ই সৌভাগ্যবান !
সে-ইতো অনেক বেশি ভাগ্যবান যে আপেল খায়
আর গাছে পরিণত হয় না কখনই ।


কে সুদূর স্রোতস্বিনী হতে পানি পান করে
আর মেঘ হয় না কভু !
যে পাহাড় দাসত্বের পূজা করে সে-ই কেবল ধন্য হয়
আর কখনই আশা করে না হাওয়ায় উড়ার স্বাধীনতা !


(ফিলিস্তিনের কবি মাহমুদ দারবিশের কবিতার ইংরেজি অনুবাদ “Psalm Four” অবলম্বনে।)


ফিরোজ, মগবাজার, ৩০/০৪/২০২০