রবীন্দ্রনাথ বলেন,


             ... সেই সত্য যা রচিবে তুমি
               ঘটে যা সব সত্য নয় ...


আল মাহমুদের মতে, পাখির নীড়ের সাথে নারীর চোখের সাদৃস্য আনতে যে সাহসের দরকার সেটাই কবিত্ব ।


এলিয়ট বলেন, রক্তকে কালিতে রূপান্তর করার নাম হলো কবিতা ।


এরিস্টটল বলেন, কবিতা দর্শনের চেয়ে বেশি, ইতিহাসের চেয়ে বড় ।


আসলে কবিতার উদ্দেশ্য নীতিশিক্ষা দেয়া নয় । কবিরা জগতের শিক্ষাদাতা, তবে নীতিশাস্ত্রের শিক্ষক নয় । কবি তার সৃষ্টির মাধ্যমে সৌন্দর্যের চরম উৎকর্ষতা সাধনের মাধ্যমে জগতের চিত্তশুদ্ধিতে ভুমিকা রাখেন; কবিতার মাধ্যমে জগত ও জীবনের রহস্যকে সুন্দর, রসযুক্ত স্নিগ্ধ অবয়বে উপস্থাপন করেন । একজন কবির কাছে সৌন্দর্যই পরম সত্যরূপে বিবেচিত হয় । যা কবির কল্পনায় সত্য বলে প্রতিভাত, তাই সুন্দর, এই সৌন্দর্য  সৃষ্টি করাই কবিতার কাজ।


আসলে কবিতা পূর্ব নির্ধারিত প্রেক্ষাপটে লেখা হয়না । স্থান, সময়, পরিবেশ, পরিস্থিতি, কবির আবেগ-অনুভূতি, ইত্যাদির প্রভাবে কবিতা যে কোনরূপ পরিগ্রহ করবে তা কবি নিজেও জানেন না । কবির আবেগ-অনুভূতি, আনন্দ-বেদনা, পারিপির্শ্বিক পরিস্থিতি তথা সকল বিষয়ে কবির  চেতন বা অবচেতন মননের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবনার প্রতিফলন হয় কবিতায়, আর এ কবিতা সৃষ্টি হয় নিরন্তর সাধনার মাধ্যমে । কবিতায় বাস্তব ও কল্পনার নিরবিছিন্ন মিশ্রন যত বেশি কবিতাও তত বেশি প্রাঞ্জল ও নান্দনিক । তাইতো বলতে হয় কবিতা পুরাপুরি বোঝা যায় না, অনুভবে আয়ত্ত করতে হয় ।