সেই রাত্রিটি-
তিনশো পঁয়ষট্টি দিন মাড়িয়ে গেলো আরো একবার
শোক এবং আশার চত্বরে আজও খাঁ খাঁ রোদ্দুর
বৃষ্টি আর হলো কই?
চোখের দরিয়া হতে নোনা স্রোত বয়ে যায়
শোকগাথার চত্বর এখনও ভেজেনি!


বিগত দিন-রাত্রি, প্রহর-ঘন্টা, সেকেন্ডগুলোর গণনায়
বুলেটে ছিদ্র হওয়া অগণিত বুক
আমার মায়ের বুকের ধূসর মাটি গাঢ় লালে সিক্ত
অন্ধকারের আবরণে ঢেকে দেয়া চিহ্নগুলো
রক্তগোলাপ হয়ে ফুটলো কই?
বরং আহাজারি বন্দি হলো-
লোভ আর কালো-কাপড় শোকে
মুখের চৌহদ্দিগুলোয় সীল আঁটা, নিশ্চুপ জবান
লোহার গারদে নিস্তব্ধ যৌবন
দিনে দিনে আয়নাঘরে বেদনাহত রহস্যের স্তূপ
নাট্যশালার অব্যাহত বয়ানে দিশেহারা কান্না …


সেই রাত্রিটি, আট হাজার সাতশো ষাট ঘন্টা-
পুনর্বার মাড়িয়ে গেল
শোকার্ত প্রত্যাশার চত্বরে খাঁ খাঁ রোদ্দুর
এখনও বৃষ্টি হয়নি …!
অন্ধকারের আবরণ ফুঁড়ে-
রক্তগোলাপ এখনও ফোটেনি …!


ফিরোজ, মগবাজার, ০৫/০৫/২০২৩