অন্ধকারের শেষ প্রহরে-
নিঝুম রাত্রির শেষ পদক্ষেপ
ইথারে ভেসে আসে আধো-আধো কম্পনের ধ্বনি
নিশাচরের বিশ্রামে
পূর্ব দিগন্তে জেগে ওঠে এক রেখা-
লাল আভা পবিত্র আলোর
নিদ্রার দোলনাতে শুয়ে ছিল ক্লান্তি
আযানের ধ্বনি, মোরগের ডাকে পৃথিবীর চঞ্চলতা
আড়মোড়ায় জেগে ওঠে কুল-মাখলুকাত - স্বর্গীয় ভোর
সকল গ্লানি ও বিবশ রাত্রি পশ্চাতে ফেলে রেখে
চোখের মাঝে মহাসমুদ্রের অনুশোচনা
ব্যাকুলিত অন্তরেও পাহাড়ে পাহাড়ে ধাক্কা লাগা ভূমিকম্প
মহান রবের প্রতি-
সেজদায় লুটিয়ে পড়ে মুমিনের কৃতজ্ঞ মস্তক!


তুলুয়ে শামসেও অচেতন দেহ
যৌবনের প্রথম চুম্বনের মতো লেপটে থাকি শয্যাতে
সুবহে সাদিক! সুবহে সাদিক!
অবশ রাত্রি এখনো জড়িয়ে আছে চোখে
এমন চোখ! দেখে না সে পবিত্র আলো
সুবহে সাদিক! সুবহে সাদিক!
প্রতিদিনের নতুন উপহার, নতুন নিশ্বাস
অথচ পবিত্র আলো আমায় ডেকে ডেকে হয়রান
বিশ্বাস ও কর্মের ব্যবধানে-
এ কেমন মহাশূন্যের বিশালতা!
অন্তরজগতে হৃৎপিণ্ডের ভয়ঙ্কর উঠানামা
আমার সবই যাঁর, তাঁকেই ভুলে থাকি-
এ কেমন অকৃতজ্ঞ মন!


ফিরোজ, মগবাজার, ০১/০৯/২০২১