শৈশবে সুখ মাতৃছায়ায়
পিতার আদর কোমলতায়
কৈশোর কাটে দুরন্ততায়
অনাবিল সুখ উচ্ছলতায় ।


নিজের প্রভু নিজেই আমি
চেয়েছি সুখ দিবস-যামী
স্বপ্ন মদির প্রাসাদ গড়ি
স্বর্ণকুটির সৌধে চড়ি ।


দুর্গম পারে ভেঙে আগল
ধনী হয়ে সুখের নাগাল
শক্তি দর্প দাম্ভিকতায়
যৌবনে সুখ খুঁজি তোমায় ।


সুখপাখিরে বন্দি করে
নিজের মতো নিজের তরে
রাখবো তারে খাঁচায় পুরে
নাচবো সুখে আপন সুরে ।


সুখের পূজায় সদাই নিবেশ
লগন গেল বেলা যে শেষ
সুখের দ্বারে হানা অশেষ
হয়নি কভু দহন নিঃশেষ ।


না পেয়ে সুখ ব্যর্থ বিষাদ
আত্মশ্লাঘায় পাই অবসাদ
অতিমোহ এক ভ্রান্তদিক
আত্মদেখায় অনুতাপ, ধিক ।


সংযমে হয় শান্তি বরণ
রোহিত হয় দুঃখ রোদন
বাঁকা পথে শান্তি কাড়ি
অল্প চাওয়ায় সুখের বাড়ি ।


ফিরোজ, টিকাটুলি, ১৭/১০/১৯৯৯