তোমার অন্তরচক্ষু ভিতরটা পড়েনি কখনো
কেন যে ভেবেছিলাম-
অন্দরের দিনলিপি দেখেছো তুমি
প্রতিটি অক্ষরের ছায়ার অনুভূতিও জানো তুমি …!


এখন পাথর নিস্তব্ধ সময়
বৈদ্যুতিক খুঁটি হয়ে নিথর দাঁড়ানো
কারণ, তোমার সামনে আর কোন ভাষা নেই আমার
নিঃসীম নির্বাক গোধুলির বাঁকে বাঁকে-
সব কথা ইতস্তত নিক্ষেপ করে দিলাম
সূর্যাস্তের পর অন্ধকারে যদি জেগে ওঠে সব ভাষা!
কথারা আশ্রয় খোঁজে সুদীর্ঘ তিমির রাতে।


ডুবন্ত জলযানের যাত্রী
বারংবার ব্যবহৃত শতছিন্ন পরিধান
কালের পরিক্রমায় শিকড় সমেত শুকিয়ে যাওয়া বৃক্ষ
- এরা সব নির্ভরতা চায়, গৃহ খোঁজে।


কিছুই দেখোনি তুমি, কিছুই বলাও হয়নি
তবে কি জলাশয়ের পাড়ে-
ঝুঁকে থাকা হিজল গাছটির মনে কোন চোখ নেই!
নিঃশব্দ নিথর দাঁড়ানো আদল
ভিতরটা কেবল-
লক্ষ-কোটি সমুদ্র ঢেউয়ে উথাল পাথাল!!


ফিরোজ, মগবাজার' ০৩/০১/২০২৪