হে বাসন্তী আজ তোমায় বিসর্জন দিলাম
তোমার রূপ-রঙ-গন্ধ গায়ে মেখে,
আজ এ বোশেখের তপ্ত দুপুর
কোকিলের ডাকে আসে নি, এসেছে দোয়েলের ডাকে।
শব্দভূক বণিকের ঘরে আজ কাব্যের হালখাতা
ঢোল আর রঙের হোলি মৈথুন স্নান নিছক,
পুরোহিত আজ বৈশাখী পূজায় অঞ্জলি দিচ্ছে
আমের বনে মুকুলের গন্ধে হারিয়ে যায় বন-শালিক
আর হৃদয়ের অন্তঃগহ্বরে বেজে ওঠে "এসো হে বৈশাখ, এসো"।
সুবর্ণ ঝর্না ধারায় গোলাপের সুবাস বিলিয়ে
দু'চোখ ছুঁয়ে চলে যায় পূরবীর সাঙ্গবার্তা,
চৌচির মাটির বুকে শীতল পরশ বুলিয়ে যায় কৃষ্ণের জলধারা-
ঘাসের বুকে তাজা রক্ত হরণ করে পলকা ফড়িং
দিগন্ত ছুঁয়ে এসে গাংচিল জানায় আগমনীর বার্তা
মহুয়া বনে প্রকৃতির উচ্ছলতা দেখে
নুয়ে পড়ে কালো মেঘের আশীর্বাদ-
প্রশান্ত বাতাস যখন হৃদকুঞ্জকে ছুঁয়ে যায়
সবার নিখিলে যখন মুগ্ধতা ছেয়ে যায়
তখন পুনশ্চ রবে কথিত হয় "এসো হে বৈশাখ, এসো"।