মাঝে মাঝে আমার জীবনটাকে পাথরের স্তূপ মনে হয়
যেখানে তোমার মায়া যেন বর্ষার মতই ক্ষণস্থায়ী,
মেঘের চমকিত ডাকে ভাঙে না আমার ঘুম-
প্রবল ঝড়ের তোড়ে ভেঙ্গে পড়া কলাগাছের রক্তে
ভেজা আমার নিখিল-
বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দেও আমি অটলিত পাথর স্তূপ
শিলা বৃষ্টির আঘাত মনে হয় শীতল শিহরণ
খোলা আকাশ যেন মেঘের কারাগার
ফজরের আযান যেন দিবসের জিহাদের আহ্বান!
ফোঁটা ফোঁটা শিশির বিন্দু আমার বুকেই বিলীন হয়ে যায়-
তুষার ঝড় কখন যে বালির ঝড়ে রূপান্তরিত হয়
তা এখনও ভেবে পাই না,
ভাবনার জগৎটা যেন তালগাছের মতই হেলে গেছে
আয়নার সামনে চেহারাটা খর্বাকৃতি মনে হয়
আর বাস্তবতার সাথে স্নায়ু-যুদ্ধ চলে নিরন্তর;
পুঁজিবাদের জলে ভেসে যায় গরিবের অসুস্থ বিকেল
সাঁঝের গোধূলি লুটে খায় গণতন্ত্রের রক্তরস
প্রেমিকার কপালের লাল টিপ ছিনিয়ে নেয় অরাজকতন্ত্র!
ভাবতে ভাবতে চলে যাই অধরা দিগন্তে
তারপরেও প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয় আমার বিবেক
আর উত্তরের খোঁজে দিশেহারা হয় সারাক্ষণ-
তখন অবুঝ মনে জেগে ওঠে আমার অভিব্যক্তি
তারপর খুঁজে পাই উড়ন্ত প্রশ্নের দুরন্ত উত্তর!