জীবন শতাব্দীর আঁকড়ে
নাকি শতাব্দী জীবনে বহমান--
জীবনে তার প্রত্যাবর্তন শতাব্দীর বুকে,
সে এক শেষের বারতা
অশ্রু দিয়ে--বললাম--
'ফিরিয়া আসিও আবার!
ষোল বছর পরে।'
শতাব্দীর পথ ধরে মাঝি বেয়ে যায় দাঁড়,
কত জোছনা রাতে পেঁচা আর জোনাকির
নক্ষত্রে যাত্রা--বাকীটুকু যেন স্বপ্ন!
কত বর্ষার জলধারা ধুয়ে মুছে দিয়ে যায়
আমার পায়ের ধূলি,
নতুনের গান গেয়ে যায় প্লাবিত প্রকৃতি
দিনের হাত ধরে দিনে পার করে খেয়া।
ভেজা কুয়াশা ভোরে
শিশিরে ভেজা শালিকের ধূসর দেহখানা;
আকাশের সোনালী মেঠো চাঁদ
তারই আলোয় হেসে ওঠে হাসনাহেনা
আর গন্ধে হারিয়ে যায় আমার মন।
আজও জীবন অথৈ--
মাছরাঙার ডুবু-উড়ু খেলা আর পূরবীর
সেই গোধূলির কান্না আজও অশ্রু হয়ে
আমার বুকে ভরে!
প্রতি ভোরে পাতি কাকের ধূসর পাণ্ডুলিপি
আয়োজন আমার পৃথিবীতে--চলমান।
আজ তাঁরা নিংড়ানো রাতে আমি একাকী ভুবন,
ভোরের অপেক্ষায় মিলনের গুপ্ত সুর
পুরোহিত জোনাকি জানায় আলোর বার্তা;
জীবন চলে আপন গতিতে- সময়ে বাঁধা স্রোত
ষোল বছর কেটে গেছে কবে- জীবনে আমার।