যিনি নিজে যে কাজটি কখনও করেন নি অথবা করেনও না আদৌ..
তিনি কী করে বুঝবেন অন্যের কাজের নেপথ্য-


অর্থবলে, চাপার জোরে, সমাজের অনেক কিছুতে পার পাওয়া গেলেও
সব সময় সমস্ত ক্ষেত্রে তাদের হামবড়া ভাবসাব ঠিক ততটা খাটে না..
অর্থাৎ ম্যাচ করে না ! তাই, বিষয়টা তারা ভালো বোঝেনও না,
কী চাকরি জীবনে, কী অবসরে..!


সরকারি চাকুরে যদি এমনটা ভেবেই বসেন যে, বেসরকারিতেও তার মতো
অফিসে গেলেই মুঠি মুঠি ভাঁড়া ভাঁড়া, মালপানির অদৃশ্য ইশারা..
কাজের চেয়ে ন-কাজ বেশি, সর্বদা মুখ থাকে হাসিখুশি !


নাহ্ ,প্রাইভেটে অধিকাংশকেই ঘাম ঝরিয়ে, রক্ত পানি করে, সদা চাকরি
হারানোর ঝুঁকি আর টেনশনের মধ্য দিয়েই কাজ করে যেতে হয়..! তাই,
শুধু এরাই বোঝেন জীবনে চাকরিটা কী, আর এই জীবনের মানেই বা কী..!


নিত্য উপরি পাওয়া সরকারি চাকুরের সেটা বুঝবার কথা নয়.. ? জীবনে একটা
সময় আসে, শেষ বেলায়, যখন কখনও কখনও পাবলিক-প্রাইভেট
চাকরি নিয়ে যত্তোসব মনোস্তাত্ত্বিক ফালতু বিতর্ক সৃষ্টি হয়..।


পাবলিক চাকুরের জীবনের শেষটা কাটে সাদা-কালোয় মিশ্র সম্পদের
মহিমায়। প্রাইভেটের বেলায় জোটে উল্টোটা, প্রথম জীবনের মতোই
ঘানি টানা, অথবা তার চেয়েও অধিকতর মানসিক যন্ত্রণায়..!!
#
বাসাবো, ঢাকা-
১৫ মে ২০২১
০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮
শব্দ- ১৬৬