বর্বরতা অভ্যাস করে না ত্যাগ; ভয়ঙ্কর পশু
হয়ে কুশ্রী মাথা তোলে যখন তখন; শান্তিপ্রিয়
প্রাণীদের কণ্ঠনালী ছিঁড়ে ফেলে, হৃৎপিণ্ড উপড়ে
নেয়, এক লহমায়-বস্তুত জীবন ক্রমাগত
আর্তনাদ করে বর্বরের পদতলে। যখন সে
নিঃশ্বাসে বাতাস ভারি করে তাড়াতাড়ি নিভে যায়
বসতির প্রতিটি ঘরের দীপ, প্রেমিক-প্রেমিকা
কোমল প্রণয়বাক্য উচ্চারণে ভয়ে কেঁপে ওঠে।


সভ্যতাকে বিদ্রূপের তুমুল ফুৎকারে ভাগাড়ের
এক কোণে ফেলে রেখে মুখ খোলে, কষ বেয়ে তার
রক্ত ঝরে, সুকুসার বৃত্তি সমুদয় তার নখরের ঘায়ে
ভীষণ জখম হয় সময়ের প্রতি পর্বে, তবু তাণ্ডবেও
জন্ম নেয় আর্ফিয়ুস যুগে যুগে, বংশীধ্বনি জাগে।


   (তোমাকেই ডেকে ডেকে রক্তচক্ষু কোকিল হয়েছি কাব্যগ্রন্থ)