দেবদারু পাতার মতন ক্ষীণ বাতাসে;
হাওয়ায় খেলা করত আমার এক মাথা,
বাওলা-আওলা চুল।
তোমার নাকি খুব ভালো লাগত!
তুমি বলতে; আমার চুলেই নাকি তোমার যত প্রেম!
মাঝে মাঝে তোমার বকুনির অন্ত থাকত না, শ্যাম্পুহীন- অনেকদিন
আমার রুক্ষচুলে।
বোঝাতে যাইনি কখনো তোমাতে
আমার এ ছন্নছাড়া উদাস হিয়া;
যবে বাউন্ডেলেরমত শরতের নীল রাতে
নক্ষেত্রের রূপালি আলোতে তাকিয়ে,
পেঁজা তুলোর মত মেঘেদের জ্যোৎস্নার মাঝে প্রীতির অবগাহন;
হেরিতেই আমার যত সুখ।
হেমন্তের ফসলশূন্য নবান্নের মাঠে;
আধ খানা চাঁদের নিয়ন আলোতে
নিশাচর পেঁচার ইঁদুর অন্বেষণ
অবলোকনেই, খুঁজে পেতাম আমার যত তৃপ্তি।
মনের অলক্ষ্যে কত ক্রোশ হেঁটে
হলাম শত ভাবনার নদী পার,
কিন্ত হায়! চৈতন্য ফিরিলেই খুঁজিলাম তোমারে,
তুমি পাশে নাই!
তুমি নারী সদা নরসঙ্গ প্রিয়, চাও
পুরুষের সাথ সারাক্ষণ,
লিলুয়া বাতাসের বাওলা হিয়া মোর
না পারি মজাতে কোনোকিছুতে কিয়ৎক্ষন।
তাই চলেছি বেহিসাবে ভবহৃদয়পুরে
মন সর্বদাই অন্য,
পিছন ফিরে তাকাতেই দেখি
না বলে চলে যাওয়া
কিছু অভিমানী রমণীর পদচিহ্ন।