হে মেট্রোবাসী,


মেট্রোপোলিটন ইউনিভার্সিটির এই উন্মুক্ত মাঠে পিঠে উৎসবে এসে


আমি যা দেখলাম, আমার এই কথন তারই সামান্য পাঠ।


আপনারা জানেন, এই পিঠা শুধু খাবার নয়। এটি রন্ধন শিল্প।


আর বাঙালীর ঐতিহ্য এবং আনন্দের সংমিশ্রণ।


এখানকার প্রতিটা পিঠা থেকে নির্গত গরম ধোঁয়া


মনে করায় এর পেছনেই হয়তো আছে


কৃষকের ঘাম, গাঁয়ের বঁধুর সলজ্জা হাসি, কান্না আর শ্রমের ইতিহাস।


আমি সে ইতিহাসে যাবো না।


আমরা আজ শুধু এই ক্যাম্পাসের পিঠা উৎসবের কথাই বলবো।


একটু আগেই ভাঁপা পিঠার ধোঁয়ায় ভেসে-ভেসে,
রাবীন্দ্রিক প্রেমিকার বেশে ইংরেজি সাহিত্যের যে শিক্ষার্থী
আলতো করে মুখে তুলে নিয়েছিলো গরম গরম ভাঁপা পিঠা


আমি তার কথা বলবো।


আমি বলবো ব্যবসা প্রসাশন বিভাগের সেই দুরন্ত তরুণের কথা


যে সহপাঠির পিঠার স্টলে দুষ্টোমির ছলে পিঠা খেয়ে পয়সা দেয়নি


বিনিময়ে পিঠে সয়ে নিয়েছে আরও কয়েকটি পিঠা।


মাঠে-ঘাটে কলেজে ইউনিভার্সিটিতে আর এখানে ওখানে


পিঠা উৎসব কতোটা আইন সম্মত বলতে বলতে আইন ও বিচার


বিভাগের যে শিক্ষার্থীর দল মুখে পুরে নিয়েছে পাটিসাপটা আর দুধচিতই।


আমরা পিঠাপ্রেমির দল তাদের কথায় কান দেবো না।


ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ওরা বলাবলি করছিলো


ওভেনের কানেকশন কেটে দিলেই গরম পিঠার বাহাদুরি শেষ


তাই পিঠা গরম পরিবেশনে আজ আমাদের অনেকটা অবদান।


আমরা কারও অবদান অস্বীকার করিনা। তবে ওভেন ছাড়াই


অনাদিকাল থেকে গরম পিঠা পরিবেশিত হয়ে আসছে।



সিএসসি আর সফটওয়্যার ইঞ্জিনয়ারিং এর ওরা


পিঠা উৎসবে এসে পিঠা নিয়ে কোন কথা বলেনি,


বলছিলো জাভা আর পাইথন নিয়ে,


জানি এটা ওদের দোষ নয়, বৈশ্বিক আবহাওয়ার ফসল।


ইকোনোমিক্স নিয়ে কোন কথা বলবো না,


ওদের একজন আরেকজনকে বলছিলো-


আমরা সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবো,


পিঠা উৎসব আমাদের জন্য বিলাসিতা।


আমি বলবো,


গরম পিঠা উড়ছে ধোঁয়া, উড়ছে তো উড়ছেই;
হাসি ঠাট্টা চলছে তো চলছেই,


মঙল কাব্য থেকে একুশ শতক


শত বরষের শতেক স্বপন


পিঠা হবে গরম পিঠা


মেট্রো’র মাঠে নোনতা মিঠা।