চড়ুই পাখি করতো বসত কুঁড়েঘরের টোপরে
বাচ্চারা তার খেলতে থাকে টোপর বাসার ওপরে।
বাইরে বেরোয় ভেতর ঢোকে মজায় কাটে বাসাতে
ইঁদুর-বিড়াল তাই পারেনা তাদের মোটে শাসাতে।


মায়ের কথা শুনতো সবাই
বাসার ভেতর তারা ক'ভাই
মা যেত যেই দোকানে,
ঘোরাঘুরি করতো তারা বাসার এখান-ওখানে।


অন্যদিনের মতো বিড়াল আসলো সেদিন সকালে
চড়ুই ছানা বললো- সেদিন, কেনো এসে ঠকালে!
-আর কখনও ঠকাবো না
বাবা মাকেও বকাবো না
এসো আবার খেলাতে
যেই খেলাতে নাম ছড়াবে নামটি সকল জেলাতে।


ইঁদুর আসে বিড়াল আসে গল্প করতে বাসাতে
গল্প করা নাকি খাতির করে তাদের ফাঁসাতে!
আমরা জানি ইঁদুর-বিড়াল বড্ড পাজি স্বভাবে
কত্তকিছু করছে তারা চড়ুই মায়ের অভাবে!


খেলতে গিয়ে নিয়ে গেলো বিড়ালটি তার আস্তানায়
গিয়েই দেখে বিড়াল রাজের খুব সকালের নাস্তা নাই।
চড়ুই ছানা হয় যে খানা এই সকালের নাস্তাতে
ক্ষুধাকাতর পেট ভরে হয় বিড়াল রাজের কাজ তাতে!