নিখাদ শিকল ভেঙে বের হওয়া কষ্টার্জিত হে স্বাধীনতা- তুমি, এক সমুদ্র ভালবাসার নাম,
তুমি পাহাড়সম ব্যথা-বেদনা স্মৃতির অ্যালবাম।
সেদিন-
লাশের স্তুপের ওপর মুন্ডুহীন ধড়
প্যাঁচানো ওড়নায় জড়ানো রূপসী
মেয়ের বুক, মুখ-
রক্তাক্ত স্যালোয়ারে লেগে থাকা বিষাক্ত মাতাল মদের গন্ধ, থেঁতলে পিষে পড়ে থাকা বুকের বাঁ-পাশে রক্তাক্ত রঙিন কাপড় ছিঁড়ে বের হয়ে আছে ঝলসানো স্তন!
আস্তানা শিবির থেকে নেমে আসা করুণ আহাজারি, আর লম্বা গোঁফওয়ালা মিলিটারির পদাঘাতে পিস্ট করা সুবলের বাবার গলা, আর হাতির দাঁত বের করে ইবলিসের অট্টহাসিতে ফেটে পড়া মিলিটারির ঠোঁট!  গগনবিদারী চিৎকার বাতাসে ইথার হয়ে মিলিয়ে যায়-
পাশের গ্রামে লম্বা গাছের উপর দিকে ওড়া
আগুনের কুন্ডলী-
আর ধোঁয়ার গোলা ঘুরেঘুরে মিলিয়ে যায় আকাশের তরঙ্গে। ছুটোছুটি করতে থাকে ছেলে বুড়ো শিশু-নারী, গরু-ছাগল-মোষ।
অদূরে মাঠে সারিবাঁধা নানা পেশার অসংখ্য
মানুষ দাড় করা। অজানা আতংকে বিপর্জস্ত সবার আত্মা- সামান্য সময় ব্যবধানে তীব্র আওয়াজ, মূহুর্তের মধ্যে ভূলুন্ঠিত সহস্র সচল দেহ! কেঁপে ওঠে বদ্ধভূমি-
নিথর দেহের শীতল ঘুম!
আহ!
এমন শত-সহস্র-লক্ষ প্রাণ বিসর্জন, অতঃপর আমার দেশ।
আমার প্রাণের অহংকার, আমার মা-বোন-বাবার তাজা রক্তের বিনিময়, হে আমার প্রিয় জন্মভূমি।    
প্রস্তুত থেকো আরো-
সতর্ক থেকো ওদের পূনর্বার করাল গ্রাস হতে-