মধ্যরাতে
সঙ্গমসুখী পাখিরা
শব্দকে ছত্রিশ ব্যঞ্জনে বাজায়
দীর্ঘতম বৃক্ষে ব’সে
মাটির নিথর বিস্তারে!


অবশিষ্টাংশ
পড়ে থাকে
বাতিল চিহ্নের মতো
শিরোনামহীন
মাংস গোলাপের ঘ্রাণে!


দীর্ঘ দাঁতের করাত
সেঁটে দেয়
ঈশ্বর আর প্রেমিকের সংলাপ
গোলাপের মৃতপ্রাণে!


যৈবতী মুখ
সর্বস্ব আমার
গাঢ় বেদনার
আসমুদ্র পরিহাস!


জন্মোত্তর ঋণে
হাড়, করোটি, কংকাল
কাঠ ও করাত
যাবতীয় জলমাতৃক উপহাস!


অভিসম্পাতের অজস্র নদী
আমার স্বপ্নময় অভিমান
এখনো আঙুল ছুঁয়ে দুঃখবতী!


রোজ
একদল মশার সঙ্গে
ব্যক্তিগত অন্ধকারে!


স্বপ্ন মন্থনের মাত্রায় বর্তুল অর্ধগোলক স্বস্নেহে
ঘাসহীন শরীরে আঁকড়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙে!
-স্বপ্নময় স্বপন©