তুই বললেই স্বাদ নিতে পারি মৃত্যুর
তুই বললেই ছিনিয়ে নেব মাল্য মুক্তির
তুই বললেই ঘুম  ছুঁয়ে পাবো স্বপ্নকাব্য
তুই বললেই চুমু খাব চাঁদের অর-বৃত্তে...
তুই বললেই বাঁচতে পারি চাঁদের নীলে ডুবে
তুই বললেই জলের পাতায় লিখব শিশিরের কবিতা
তুই বললেই যুগল স্মৃতির রাতে বাজাব বেথোফেনের সুর
তুই বললেই মুছে দেব প্রকৃতির প্রত্নরাতের উত্তরাধিকার
তুই বললেই বলে যাব বংশ-পরম্পরা জীবনের সরল গল্প
তুই বললেই গাঁথব নত্রফুল জ্যোৎস্নার মায়াবি বুকের উপর
তুই বললেই প্রেমহীন জলের গহীনে হাবুডুবু খেয়ে খুঁজব ডাঙ্গা
তুই বললেই তোর ফসলী বিছানায় মাখাব অরণ্যের মাদকতা
তুই বললেই হৃদয়ের শব্দফল জমিয়ে রাখব কলমের খাঁজে অতি যত্নে
তুই বললেই আকাশের গা থেকে খুলে নেব বৃষ্টির অলংকার
তুই বললেই কেড়ে নেব কালবৈশাখীর উদ্ধত অহংকার
তুই বললেই না ছুঁয়েই তোকে  ছোঁব ঘুমচোখে ফেরারী রাতে
তুই বললেই পৌঁছে দেব জীবন আখ্যান চন্দ্রাহত চন্দ্রালোকে
তুই বললেই পোড়াব  সময়ের মোম-শরীর কুয়াশার হিমেল অনলে
তুই বললেই  একাকীত্ব ঘণীভূত হলে  বদলে দেব জীবনের সব ধ্রুব
তুই বললেই মধ্যরাত্রিতে দৃশ্যহীন শীতল পরশ বদলে হবে লাবণ্যরাত
তুই বললেই  সোনালী ভোরে আলোকিত হবে সবুজ ফাগুন বসন্তি ফুলে
তুই বললেই কিংবদন্তী হওয়ার নেশায় করব সুবিধাবাদি কাকেরনিকট সমর্পণ
তুই বললেই  বিসর্জন দেবো শুভ্রতা প্রতীক্ষা আদিম আকাঙ্খাবিছানার জলে
তুই বললেই  অকস্মাৎ ঝড় তুলে লণ্ডভণ্ড করে দেব বিদগ্ধ যৌবন।
তুই বললেই  অস্তিত্বের উষ্ণ ঘামে ভেজা শহুরে ব্যস্ততা নিলামে তুলে আরন্যক হব
তুই বললেই সস্তায় বেচে দেব হাটুরে মজমায় বুকে পুষে রাখা মৃত স্বপ্নের পসরা
তুই বললেই অনায়াসে অন্তর্বাসের পকেটে ভরে রাখব আমার বিলাপ, দীর্ঘশ্বাস আমার স্তব
তুই বললেই রোদের বর্ষায় ভিজতে ভিজতে কাঁধে ঝুলিয়ে বয়ে বেড়াব মৃত আত্মার খসড়া।
                   -স্বপ্নময় স্বপন